এই বসন্ত মাড়িয়ে কোথায় চলেছো চারুলতা?
একটু বসো,
আমি আঙিনায় পেতে রেখেছি পলাশের পাপড়ি।
তুমি কোথায় চললে?
সম্মুখে কালবৈশাখী!
ভৈরব নৃত্য দেখে কত দূরে যাওয়া যাই চারু?
বুকের মাঝে পেরেক ঠুকে আর কতটা যাবে বলো?
এবার একটু বসো পাশে, আমি আঙিনায় পেতে রেখেছি শুভ্র বকফুল,
তোমার জন্য একটি কবিতা হয়ে গিয়েছে বসন্তের কোকিল!
তুমি ছায়াহীন পথ চলার নাম দিয়েছো রাত্রী!
আকাশের ছায়াপথে কি কখনো চোখ মেলে দেখেছো?
আজ এই বসন্ত মাড়িয়ে তোমার ছুটে চলা,
তুমি কৃষ্ণচূড়ার আহ্বানে কতটা এগিয়ে যাবে?
এবার একটু জিড়িয়ে নাও এই রোদ পরা দেয়ালের আড়ালে!
তোমার আহ্বানে আমি তো বিশ্ব ঘুরে আবার ফিরে তাকাই তোমার দিকেই।
তুমি গহীন দ্বীপের রাজত্বে আমাকে রাজা করে দিতে পারো।
লোকারণ্য হীন কোন পৃথিবীর বুকে ডানা ঝাপটিয়ে ছুটে যাবো আমি,
আকাশের কাছাকাছি তোমার হবেনা বসবাস!
মেঠোপথের পাশে বয়ে চলা নদী, বয়ে নিয়ে চলে জীবনের শতক গল্প!
আমি আড়ি পেতে শুনতে চেয়েও পারি না শুনতে তা।
আমাকে তুমি শরতের শেষে পাবেনা চারুলতা,
আমি হারিয়ে যায় হঠাৎ কোন এক সময়ের অকাল বোধনে।
যখন সময় তোমাকে হাত বাড়িয়ে দেয় কৃষ্ণচূড়া,
নিঃশব্দে তখন আমি হয়ে যায় নিঃস্ব!
বসন্ত মাড়িয়ে তোমার কাছে যেতে পারি নি আমি,
ছোট একটা ঋতু, তবুও আমার চোখে তখন মৃত্যুর দৃশ্য!