আচ্ছা,
বলতে পারো ভালোবাসা কেমন?


ভালোবাসা!
সেতো বন্ধ নদীর মোহনায় হঠাৎ জোয়ার আসার মতো,
নীরব সমুদ্রের মাঝে হঠাৎ জলোচ্ছ্বাসের মত
আছড়ে পড়া ঢেউ এর প্রবলতার ন্যায়।
সূর্যের পড়ন্ত আলোর ন্যায় রঙিন আলোকিত,
যাকে ভালোলাগে দূর হতেই, কাছে যেতে নেই।


আর আকাশ? সেতো দূরত্ব বজায় রাখে, তাকে ভালোবাসো?


ভালোবাসা!
সেতো কবেই ভুলে গিয়েছি, তবে ভালোলাগে, প্রচন্ড রকম ভালোলাগে।
নিরব রাতে তার বুকের চাঁদ আলোর মায়াতে পড়া যায়, কিংবা বুকে ভেসে থাকা মেঘ প্রচন্ড রকমের ভালোলাগে।
অঝরে ঝরা শেফালির বুক পদদলিত করে চলে যাওয়া বৃষ্টি ভালোলাগে।
কিংবা আগুনের ফুলকির ন্যায় ধেয়ে আসা বজ্র মাটি স্পর্শের আগ মূহুর্ত পর্যন্ত ভালোলাগে।


শুধু ভালোলাগে? আর ভালোবাসা কি মৃত?


মৃত!
কখনোই নয়, ভালোবাসার মৃত্যু নাই, আজ হয়ত লুকায়িত, সঙ্গ ছাড়া।
যেমন দিনের সূর্য লুকায় রাতের আধারে। তবে সে তো মৃত নয়।
আজ এ প্রান্তে প্রভাত, ও প্রান্তে সন্ধ্যা নামে। আজ হয়ত ভালোবাসা এ প্রান্তে লুকিয়ে ও প্রান্তে
প্রাঞ্জল হয়ে আছে।
আমার দুয়ারে আজ হয়ত তার পদচারণ নেই, অতিতে থেকে মুছে ফেলা তো সম্ভব নয়।
হয়ত লুকিয়ে থেকে একদিন আমি নিখোঁজ হবো,
সেদিন হয়ত আবার আসবে ভালোবাসা!


সকল বাস্তবতায় কি আজও তুমি স্বপ্ন দেখ?


স্বপ্ন!
সেতো বসন্তের কোকিলের ন্যায়, নির্দিষ্ট সময়ের পর তাকে হাতছানি দেওয়া যায় না।
শীতের আবছা কুয়াশার ন্যায়, আলোর প্রবলতার সঙে যায় প্রস্থান ঘটে।
বয়ে চলা নদীর মোহনার ন্যায়, স্রোতে ভেসে চলা কচুরিপানার ন্যায়।
শৈশবের উদ্দাম গতীর দুরন্ত স্বভাবের ন্যায়।
আসে, আবার হাতছানি দিয়ে লুকিয়ে যায় কিন্তু রয়ে যায় চিরকাল অন্তরের কোন এক কোণে!
তবে কেউ তাকে ছাড়তে পারেনা, আমিও মানুষ হিসাবে স্বপ্ন ছেড়ে বাঁচতে পারি কেমন করে?


আর আমি হীনতা কি আজও বোঝ?


তুমি হীন!
আজ গভীর ঘুমে ভোর হয়, একাকিত্বের স্বাদ পেয়েছি অনেক দিন হলো,
আজ একাকিত্বে নির্জন রাত নামে, প্রিয়জন হতে প্রয়োজন এখন মুখ্য হয়ে গিয়েছে।
সমান্তরাল পথ আজ ক্ষয়ে ক্ষয়ে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
আজও আকাশে মেঘ আসে, বসন্ত আসে, বৃষ্টি হয়।
তবে তুমি হীনতার প্রবনতা আর আসে না।
চির নিদ্রা যখন হবে তখন তোমার অনূভুতি তে হয়ত আমার তুমি হীনতার প্রবল ঝড় আছড়ে পড়বে আমার প্রাণ হীন দেহে!