তোমার তাম্বূল রাগ রঞ্জিত পাতলা ওষ্ঠ,
একটা সময় আমার খুব প্রিয় ছিল ।
উন্মাতাল যৌবনবতী, রূপসী ললনা তুমি,
সামান্য পরশেই হৃদয় বনে এসে যেত বসন্ত ।
পড়ন্ত বিকেলের রক্তিম আভার ছোঁয়ায়,
তোমার সে সোনালী মুখ আমি বহুবার দেখেছি।
পীনোন্নত বক্ষদেশের হিমশীতল আবেশে,
স্বপ্নের রূপালী সৈকতে হারিয়ে যেতাম সহজেই।
মরাল গ্রীবা, দশাসই নিতম্ব আর বাঁকানো ভ্রুযুগলে
তুমি ছিলে আমার কাছে এক অনিন্দ্য সুন্দরী!
প্রেমাভিনয়ে তোমার ছিলনা কোন তুলনা,
কোনদিনও জানি নি তাতে মিশে আছে কোন ছলনা।
আমার প্রেমান্ধ চোখে তোমাকে দেখতাম,
ষোল কলায় বিকশিত বৈ-দেহী সীতা
নতুবা দ্রৌপদী-কৃষ্ণা!
তোমার সব ছিল বলেই আজও তুমি ভালো আছো,
আর আমি বিরহক্লিষ্ট, উদ্ভ্রান্ত এক পথিক!
অবিনাশী তুমি হয়তো আজও আছো,
কারো না কারো হৃদয়ের ‘ক্লিওপেট্রা’ হয়ে!
অক্টোপাসের মতো জড়িয়ে নেবার,
ক্ষমতা ছিল বলেই আজ আমি জীবন্মৃত।
জীবনের সবগুলো পথ এখন আমার বড় অচেনা,
আমি হাঁটছি কেবল অন্ধগলির পথে!