বরের বয়স পঁয়ষট্টি আর কনের হলো আঠারো,
এ কেমন বিয়ে, চারদিকে ছি ছি রব উঠলো হাজারো।
‘ভাইরাল’ হলো খবর খানি ‘নেট’ দুনিয়ায়,
বেচারা দুজন কি করবে এখন, পারলে পালিয়ে বেড়ায়।
আসে মানুষজন, আসে রিপোর্টার হাতে ধরে ক্যামেরা,
আচ্ছা বলো দেখি বাপ-এমন কাজটি কেমনে করলে তোমরা?
আরেকজন বলে, বলো বোন- কি পেলে এমন ঐ বুড়োর কাছে,
হায়রে হায়, কি কাজ করলে তোমরা, লোকজন শুধু হাসে।  
কারো মাথায় ভাঙলো আকাশ, কেহ হেসে আত্মহারা,  
ভেবে কেহ পায় না কূলকিনারা, এমন কাজটি করলো কেমনে তারা।
বুড়োটার মনে নেই বুঝি একটুও লাজ,
একবারও ভাবেনি সে, তাদের নিয়ে বলবে কি সমাজ!
মেয়েটাই বা কেমনে হলো রাজি, বুড়োটা যে তার নানার সমান,
এমন অসম বন্ধনে গেলো বুঝি সকলের মান সম্মান!
জানিনা কি ছিলো দুজনার মনে,
মজিলে তারা কি এমন প্রেমে ভাবে দুর্জনে।
কুষ্টিয়া হতে একজন তার রিপোর্টার পুত্রকে করে ফোন,
কেন গেলে বাবা কুমিল্লা তুই, শুন রে বাবা শুন।
হচ্ছে কত নারীর উপর যৌন নিপীড়ন আর ঘটছে কত খুনাখুনি,
এত খবর ছেড়ে কেন রে বাবা, সে দিকে গেল তোর মনখানি।
ওরা দুজন বেধেছে ঘর, তাতে হলোটা এমন কি,
তার চেয়ে গরীবের চাল চোরের খবর গুলো কম কি?
ওসব খবর বাদ দিয়ে বাবা তুই, কুষ্টিয়া চলে আয়,
এটি এমন কোন খবর নয় যে, দুনিয়া যাবে গোল্লায়।
কার মনে কি ছিলো, বিধাতা সব জানে,
প্রেম এমনি এক জিনিস, বয়স কি তা মানে?
ভেবে দেখুন তো, এমন একটি জোড়া বেধে দিলেন যিনি,
জগৎ সংসার সৃষ্টি যার, তাঁরে আমরা কতটুকু চিনি?
যুগ যুগ ধরে এমনি হাজারো ঘটনা কতই না ঘটে,
তবু মজা পাই বুঝে না বুঝে, এমন খবর যখন রটে।
বয়সের মিল হলেই যদি বলা হয় সার্থক জুটি,
প্রেমের বেলায় মনে রেখো, সর্ব কালেই মিথ্যা এ কথাটি।