সময়ের ধাবমান ঘোড়ায় ছড়ে,
পেছনে ফেলে এসেছি, জীবনের অনেকটা পথ।
স্মৃতির পাণ্ডুলিপি থেকে পড়ে গেছে খসে,
অনেকগুলো ধূসর পাতা।
তারপরও শত স্মৃতি বিস্মৃতির মাঝে মানসীর কথা,
আজও মনকে করে আঘাতে আঘাতে জর্জরিত।
“ক্ষমা করো সুজন, তোমার মানসী বড় অসহায়,
নিয়তি বলে সে আজ ‘বলি’, সমাজ দেবীর পায়!”
কপোতাক্ষ, ব্রহ্মপুত্রসহ হাজারো নদী,
এরই মাঝে হারিয়ে গেছে ধরণীর বুকে।
পদ্মা, মেঘনা, যমুনা-তো মরতে বসেছে,
বুকের মাঝে বসুমতী গড়েছে দু দু বালুচর!
সময়ের পরিক্রমায় অতীতের গহ্বরে,
হারিয়ে যায় সব সুখ-দুঃখ, হাসি আর কান্না।
স্বপ্নিল যৌবনের রূপালী স্মৃতিগুলো নিয়ে ভাবছে বসে,
অশীতিপর কোন এক বৃদ্ধা, পৌষের কাঁচা সোনা রোদে।
সবই তো চলে যাচ্ছে চিরদিনের মতো,
বড় নির্মম, নিষ্ঠুর এ পৃথিবীর সময়!
আমিও ভেবে ভেবে হই আনমনা,
মানসীর সুখ-দুঃখ জড়ানো স্মৃতি রোমন্থন করে।
জানি, ওসব ভেবে আজ আর কোন লাভ নেই,
তবুও ভাবতে থাকি নিরন্তর।
নিরর্থক ভাবনায় জড়িয়ে যাই শুধু শুধু,
কালের গহ্বরে হারিয়ে যাওয়া স্মৃতিগুলো নিয়ে।