প্রেয়সীর সুখের পরশ পেয়েছি বলে,
জগত সংসারে আজো আমি সুখী।
বলতে এতটুকু দ্বিধা নেই আজ,
প্রেয়সীর আনন্দ মাখা অশ্রুজল, বুকের মাঝে দিয়েছে
কেবল, উচ্ছ্বাসে ভরা নীরব সুখের প্লাবন!
অথচ, এক ফোঁটা জল পাবার জন্য একটা চাতক,
বারবার জীবনটাকে সঁপে দেয় মরণের কাছে।
প্রেয়সীর ভালবাসা ভরা যৌবনা নদীর বুকে,
আমি গাংচিল, মাছরাঙা আর পানকৌড়ির সাথী ছিলাম।
পুষ্পিত কেশের বনে আমি লুকোচুরি খেলেছি,
হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া স্বপ্নিল আবেশে।
জীবনের সাহারাকে বানিয়েছি মরূদ্যান,
চির শাশ্বত সুখী মানুষের বৈভব নিয়ে।
শিউলি ঝরা ভোরের সমীরণ মাঝে,
শিশিরে সিক্ত গোলাপকে কাছে পাই যখন।
নিজেকে সুখী মানুষের একজন,
ভাবতে ক্ষতি কি এমন।
প্রেয়সীর মায়া মাখা হরিণ চোখে আমি,
নিত্য খুঁজে পেয়েছি জগতের অনাবিল সুখ!