ফুল তোমাকে কখনো দেখি প্রেমিকের হাতে,
কিংবা প্রেয়সীর গলায় ঝুলানো কোন মালাতে।
আলিঙ্গনের শিহরনে তুমি হও শরমে কুটিকুটি,
খোঁপার মাঝে বসে কখনো হাসো মিটিমিটি।
হাসিমাখা মুখখানি নিয়ে তুমি অকৃত্রিম সুন্দর,
তোমার রূপের নেশায় ব্যাকুল হয় যত ভ্রমর।  
সৌরভে মাখা তোমার নরম তুলতুলে দেহ,
ছিঁড়ে নেয় যখন তখন নিষ্ঠুর হাতে কেহ।
প্রবোধ মানে না মন চায় তোমাকে শুধু কাছে পেতে,
যখন তখন কেড়ে নেয় তাই অকৃত্রিম বন্ধন থেকে।
তোমার শক্র হলো আজ রূপ আর ঘ্রাণ,
তাইতো কারণে অকারণে বিলিয়ে দিতে হয় প্রাণ।
কোন স্মরণীয় দিনে কিংবা কাউকে ঊপহারের নামে,
আবার কখনো  নীরবে শুকাও কোন আয়নার ফ্রেমে।
‘পুষ্পসজ্জা’য় তোমাকে দেখি কারো অন্তিম যাত্রায়,
দেখি তোমার আত্মত্যাগে হাজারো সমাধি শোভিত হয়।
শত ব্যঞ্জনার নয়ন ভোলানো রূপ আর ঘ্রাণে,
পৃথিবীর সর্বত্র তুমি ফুটো প্রতিদিন বড়ই অভিমানে!
মাঝে মাঝে কারো কুটিল কামনা মিটানো শেষে,
তুমি নিদারুণ অবহেলায় পড়ে থাকো রাস্তার পাশে!
বাধা দেয়ার ক্ষমতা তোমার একটুও নেই বলে,
বরন করো মরন জ্বালা বুক ভরাও নয়নের জলে।
তুমি টবে, তুমি মেঠো পথের পাশে, তুমি সদা সর্বত্র,
তোমার উপমা তুমি নিজেই, তুমি সবার কাছে পবিত্র।
তুমি ফুট আর ঝরো, বড়ই ক্ষণস্থায়ী তোমার এ জীবন,
হৃদয়ের আঙিনায় কোমল পরশে আমি তোমায় করি বরন।
তুমি আর আমার প্রিয়তমার মাঝে নেই কোন অমিল,
দুজনেই আমার জীবনটাকে করেছো যে স্বপ্নিল!
দুজনেই আজ প্রেরণা আমার, আমার জীবনের স্বপ্ন সাধনা
শত  চেষ্টাতেও আঁকতে পারিনি আজও তোমাদের আদর্শ আলপনা।