তৃষ্ণার্ত চাতকের মতো আকাশে না উড়ে,
নেমে এসো জলে টলমল পদ্ম দীঘির পাড়ে।
ষোড়শী কজন ঘাটে বসে এখন, কথার ফুলঝুরি মুখে,
দীঘির জলে নামবে সহ্সা, সাঁতরাবে মনের সুখে।
সবুজ বনানীর মাঝে পাখিরা সব করছে কোলাহল,
স্বচ্ছ সরোবরে এক ঝাঁক বুনো হাঁস, জলকেলিতে মাতাল!
ফুলে ফুলে শোভিত বসন্তের কানন,
ফলের সুবাস পেয়ে ভ্রমর করছে নাচন।
প্রজাপতি উড়ে উড়ে এ ফুল থেকে ও ফুলে বসে,
মধটুকু চুষে নেয় মৌমাছির দল এসে।
ফুটেছে ফুল হিজল, সনালু, কদম, জারুল,
গোলাপ, গন্ধরাজ নাম না জানা আরো কত ফুল।
ফুলের রাজ্যে ময়ূরী নাচে পেখম খুলে তার,
দোয়েল, টুনটুনিরা ডালে দোলা দেয় বারবার।
প্রণয়ের বানী নিয়ে মেঘমালা উড়ে যায়-
তোমার বিরহে শেষে বৃষ্টির অশ্রু ঝরায়।
লুটেপুটে নিতে পারো প্রকৃতির আছে যত সুখ,
ধরণীর চির উদার বুকে চলে এসো, ভুলতে সব দুখ।
মিলন মোহনায় এসে হারাতে পারো নদীর মতো,
সাগরের কাছে বিলিয়ে দিতে, তোমার ভালোবাসা যত।
দিগন্ত জোড়া নীলাম্বরী শাড়ীর আঁচলে,
সাগর হয়ে জড়াবো তোমায় প্রেমের মায়াজালে।