ঘরে বন্দি জীবনানন্দ! বোধহয় শতাব্দীকালে বাঙালির ঘরে-
এমন বৈশাখ আসেনি কখনো আর!
যে বৈশাখে- বহমান চৈত্রের ঝাঁঝালো রোধে বুকফাটা আর্তনাদ,
তৃষ্ণার্ত 'মানুষ' বাঁচতে খোঁজে চাতকদলের মতো একফোঁটা রহমজল!
কখন আসবে স্নিগ্ধ সে জলফোঁটা, বিশ্বময় মুমূর্ষু মানবতা মুক্তি পাবে। অজানা ।


এমন বৈশাখ আসেনি কখনো আর!
যে বৈশাখে- ইলিশপান্তা ধূসর স্বপ্ন! রঙময় পোশাকের বাহানা নেই!
নেই হৈ-হুল্লোর নাগরদোলায়!
মন খারাপের তরীই কেবল চলছে...
উথাল পাথাল ঢেউ, ডুবে যায় যায় আগামী!
নিভে যায় যায় জীবন নদীতে পথ দেখানো দৃষ্টি প্রদীপ।
সৃষ্টিজগতের রহস্যে আবর্তিত অসহায় মানবের কন্ঠে-
নেই বৈশাখের রঙিন পদাবলি।
আছে কেবলমাত্র বেঁচে থাকার আকুতি!


এমন বৈশাখ আসেনি কখনো আর!
ঘরে বন্দি জীবনানন্দ! স্বপ্ন ফুরোনোর ভয়ে বন্দি মন!
তবুও কবিতায় আশার আলো জ্বালিয়ে বলি,
এ দুঃসময়, এ 'করোনাকাল' শেষ হবে যখন,
রঙিন বৈশাখ আনবো জনে জনে মনে প্রাণে-
ঋতুর শ্রেণীবিন্যাসে সে 'সময়' যাহোক তখন!