তবুও শিকড় আটকে রাখতে পারেনি বৃক্ষকে- ঘূর্ণিঝড়ে উপরে গেলো ।
বছরের পর বছর একটু একটু গড়ে তোলা প্রেম- ধুলিস্যাৎ হলো !
যদিও ভালোবাসায় কোন খাঁদ ছিলনা- রোপনে, যতনে, পরিচর্যার সময় ক্ষেপণে ।
সাথে স্বপ্ন ছিলো আকাশ ছোঁয়ার, বৃষ্টিতে ভেজবার, জোসনা পোহাবার- যুগল যৌবনে ।
ইচ্ছে পুরন হয় না সবার ।
থাকেনা ঘরে- যে পাখির স্বভাব উড়ে যাবার ।
প্রেমিক ভুলতে পারেনা । অসহায় । ভাবনা করে- কিভাবে মনের দেবীকে রাখবে ধরে, চিরতরে । জানে, যদিও সে ফিরবে না আর ।
ফেরা সম্ভবও না । শেষ ফুলগুচ্ছ দিয়ে দিয়েছে চোখের জলে বিদায় বলে- মানব জনমের আসা যাওয়ার নিয়মে সবারই থাকতে হয় যে নির্বিকার ।
তবে তার কাছে ছিলো প্রমিকার পূর্ণ দেহের ফটোগ্রাফ বুক পকেটে - তাও হয়তো নষ্ট হবে একদিন!
সংরক্ষণে দেবীর স্মৃতি বরং সে আদলে একটি পাথরের ভাস্কর্য করে ঘরে রেখে প্রেম চলুক অব্যহতভাবে মনে মনে!
এটি হয়ে থাকলো বিরহী ভস্করের কাছে হৃদয়াকাশের লুব্ধক তিনশ যাট ডিগ্রী মধ্যকোণে ।
এরপর থেকে চলছে অলৌকিক প্রেম প্রতিদিন!!!
গল্পটি এক প্রেমিক ভাস্করের- হারিয়ে যাওয়া প্রেমের তীব্র আকুতি ।
শুনে- আমি অবাক হয়েছি । "প্রেম" আসলেই কিছুটা অলৌকিক নিয়তি !