মাকে নিয়ে আবেগের কবিতা পড়েছি বহু ।
সন্তানের ভালোবাসার প্রকাশ দেখেছি অসংখ্য ।
বেশিরভাগ কবিতা মিথ্যে ভরা! আবেগে সত্য গোপন করা!!


সত্য কবিতা হলোঃ
নাড়ী ছেড়ার পর থেকেই বাড়তে থাকে একটু একটু করে ভৌগলিক দূরত্ব ।
সময় বাড়তে থাকে-বুকে লুকিয়ে থাকা, আঁচল ধরে পিছন পিছন ঘুরঘুর করা কমতে থাকে ।


নাড়ী ছেড়ার পর থেকেই বাড়তে থাকে একটু একটু করে পারিবারিক দূরত্ব ।
সময় বাড়তে থাকে- চোখ ফাঁকি দেবার কৌশল শিখতে থাকে, মুখোমুখি হবার প্রবণতা কমতে থাকে ।


নাড়ী ছেড়ার পর থেকেই বাড়তে থাকে একটু একটু করে অর্থনৈতিক দূরত্ব ।
সময় বাড়তে থাকে- সন্তানের প্রয়োজন না মেটাতে পারার কষ্ট বাড়তে থাকে । আবার সন্তান মায়ের প্রয়োজন মেটাতে পারেনা সে বেদনাও বাড়তে থাকে ।


দুজনেরই বয়স বাড়ে, সমানুপাতে মা-সন্তানের দূরত্ব বাড়ে ।


বাস্তবতা এটি: সময়ের প্রয়োজন, জীবনের প্রয়োজন, প্রাকৃতিক নিয়ম ।
সন্তানও একসময় এইচক্রে মা-বাবা হয় । তার সন্তানের নাড়ী ছেঁড়ার কবিতাও হুবহু ।


মাকে নিয়ে মহাসত্য কবিতা হলোঃ
নানা কারনে, বাড়তে পারে ভৌগলিক দূরত্ব ।
বাড়তে পারে পারিবারিক দূরত্ব ।
বাড়তে পারে অর্থনৈতিক দূরত্ব ।
এমন কি, বাড়তে পারে রাজনৈতিক দূরত্ব, ধর্মীয় দূরত্ব ।
যত কিছুই হোক অথবা যত কিছুই না ঘটুক ।
যত নিয়মই মানুক অথবা যত অনিয়মই চলুক ।
কখনো বাড়েনা মা-সন্তানের মনের দূরত্ব।
জঠরে ভ্রুণের নড়াচড়া থেকে আমৃত্যু, মা-সন্তানের মনের দূরত্ব শূণ্যসম ।


ময়ের উপরে মনের মানুষ নেই জগৎ সংসারে ।।