নিস্তব্দ মধ্যরাতে একাকী বসে পদ্মাসনে বিছানার পরে, চোখ দুটো বন্ধ করে-
বুকের বাম পাশে ডান হাত রেখে তর্জনী দিয়ে পরপর সাতটি টোকা মেরেছিলাম,
ধমনীতে শিহরণ জেগেছিলো- রক্ত বিন্দু সাঁতরে বেড়িয়ে ছিলো সমস্ত দেহ।
শ্বাস প্রশ্বাস ধীর লয়ে ফুসফুসে যাওয়া আসার খেলা করেছিলাম-
ধমনীতে শিহরণ জেগেছিলো- রক্ত বিন্দু সাঁতরে বেড়িয়ে ছিলো সমস্ত দেহ।
আমার হৃদয় মন্দিরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম- তোমাকে আসবার আমন্ত্রণ।
জানি, মনের কথা মনে আবেশিত হয় অলোরবেগে যেন বিদ্যুৎচমক-
অলৌকিক প্রেমের বার্তায় মুহুর্তেই হয়- সর্বত্র সলক!
অবশ্য তুমি সেদিনও কাছে নয়, ছিলে দূরে কুঞ্জবনে সদ্য প্রস্ফুটিত ফুল।
অথচ তোমার প্রতিবিম্ব ছিলো- আমার হৃদয় মন্দিরে প্রেমাকুল।
তারপর...
তারপর, কেটে গেলো কতো শীত, এলো কতো বসন্ত- তুমি এলে না!
নিবেদনটি ছিলো হৃদয়ের গহীন থেকে-
এখনো আছি অপেক্ষায়, হয়তো সে সময় হতে পারে অনন্ত- তবে ব্যর্থ হতে পারে না !
ইহলোকে না হলে, হয়তো হবে দেখা পরলোকে।
কেননা আমার নিবেদনটি ছিলো হৃদয়ের গহীন থেকে।