মনে পড়ে, মনে পড়ে আজও, নদীর বুকে চাঁদ ডুবেছিলো একদিন,
সে কী রূপোলী জলকেলি! স্বপ্তসুর, নুপুর, নৃত্যরূপঃ তা ধিন ধিন ।
ঢেউচুড়া অষ্টাদশী যুবতীর বুক-
বলতে গেলে, নদীর পুরো দেহে ছিলো কেমন কেমন ভীষণ সুখ!
লেপ্টে থেকে থেকে কিছুটা এগিয়ে নাভীকুপ ঢেউ পাদদেশ,
খবর অজনা সেসব! কতো নাবিক এমন জোসনা রাতে হয় নিরুদ্দেশ!
এরপর নদীর মোহনাঃ জলে জল মেশে,
মোচড় খায় যুবক হৃদয়, দেহ কাঁপে ভেসে বেড়ানো কচুরিপানা বেশে ।
সেদিন অবশ্য কচুরিপানায় রঙিন ফুল ফোটে!
চুমুক লাগায় জল- পাখি ঠোঁটে!
নদী, পাখি, সময়- সব, সব হারিয়ে ফেলেছিলো খেই!
দুর্ভাগ্য তখন, নদীর বুকে বাসা বাধতে দেবার জায়গা নেই!
পাখি উড়ে গেলো, সুরেলা কন্ঠে ছিলো বিচ্ছেদী বীণ-
মনে পড়ে, মনে পড়ে আজও, নদীর বুকে চাঁদ ডুবেছিলো একদিন ।
মনে পড়ে, পড়ন্ত জীবন বিকেলে- অল্প সল্প, সঙ্গ গল্প, সে সময় ক্ষণকাল ।
আহারে মানব জনম! সুখ সে অস্থায়ী, দুঃখ দীর্ঘকাল ।