কোনদিন কোন অভিনয়ই করেনি-
অথচ নাম রটে গেলো তার নটীবানু!
যৌবন আসেনি, কৈশরে পা দিতেই বৃদ্ধ বাবা বিয়ে দিয়ে দিলো-
প্রথম বিয়ে এটি তার । আবেগী কিশোরীমন ভালোবাসতে কার্পণ্য করেনি
তবুও বছর তিনেক পরে এক সন্তানসহ ডিভোর্স দিয়ে উদাও বাউন্ডুলে স্বামী!
এরপর ঘরে ঘরে কাজের বেটি সে...
দ্বিতীয় বিয়ে নিজেই করেছে গার্মেন্টস্ কর্মী । প্রেম করে!
মধু খেলো ভ্রমর বছর দুই-
পরেই খুজে নিলো নতুন ফুলের নতুন ভুই ।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন । বছর খানেক অপেক্ষা শেষে-
নানা লোকে নানা কথা বলে- তা ঠেকাতেই তৃতীয় বিয়ে ।
যে বাড়ী কাজ করে সে বাড়ীরই এক কাজের ছেলের সাথে!
যার জোটে না, তার কোনকালেই জোটেনা- দুধভাত পাতে ।
নেশায় মত্ত, অসামাজিক কর্মপ্রিয় তৃতীয় স্বামীকে বিদায় জানাতে হলো-
রয়ে সয়ে তবুও বছর পাঁচেক হলো । এতদিনে মোট তিন সন্তানের মা!
বিরক্ত হয়ে বলেছিলো নাকি- "যা শালা তুই যা ।
আর কোন বিয়ের নাম নিবো না!"
চলতে থাকে সন্তানসহ একলা জীবন...
এতোদিনে চায়ের দোকানদার, পানের দোকানদার, মুদি দোকানদার, সবজি বিক্রেতা-
সবাই তাকে নটীবানুই ডাকে!
অথচ কোনদিন কোন অভিনয়ই করেনি জোসনাবানু!


এক বাদল দিনে এক চায়ের দোকানে অলস আড্ডায় বসে এসব কথা আমার শোনা-
ভাবি, কতো কতো জোসনাবানুর এমন বেদনার কবিতা কতো শত কষ্টের শব্দে বোনা ।