ধরো,
শৈশবে-
হাফ-প্যান্ট রাস্তায় রেখে
গাছ বেয়ে বেয়ে উঠে নদীর উপর ঝুলন্ত ডাল থেকে
লাফ দেবার সময়টুকু- ভোলা যায় ?
পানকৌড়ির মতন সে জীবন । ডুব-ডুব খেলা ।
অথবা ক্লান্তিহীন সাঁতার - বুকের নিচে নিয়ে কলা গাছের ভেলা ।
পদ্মাসন করে বামুন সেজে ছোট্ট ছোট্ট ডুবে
নদীর এপার ওপার করার পাল্লা ডানপিঠে বন্ধুদের সাথে- ভোলা যায় ?
তারপর, বেশ ভালো ছেলে !
মায়ের বকুনি খেতে হবে নাগো-
ভাবে, প্যান্টতো শুকনোই রেখেছি !
কিন্তু চোখ দুটো - সেতো রক্তজবার মতন লাল !
ঐ চোখ দুটো ভালোবাসি ! বড় ভালোবাসি । সবসময় ভালোবাসি  ।


আবার ধরো,
যৌবনে-
যখন- কল্পনা রঙিন ! স্বপ্ন অফুরন্ত ! শক্তি সীমাহীন !
সুন্দর আর সাম্যের পৃথিবীর সাধক - কোন যুবক,
যদি দেখে কোথাও অন্যায়, অবিচার, শোষণ, বঞ্চনা ইত‌্যাদি ...
উট পাখির মতন মুখ না লুকিয়ে দ্রোহে ওঠে জেগে –
মজলুমের পক্ষ নেয় -প্রতিবাদ করে, চোখ দুটো করে কৃষ্ণচুড়ার মতন লাল !
ঐ চোখ দুটো ভালোবাসি ! বড় ভালোবাসি । সবসময় ভালোবাসি  ।


আবার ধরো,
বয়স শেষে –
বৃদ্ধের- মাটির সাথে মিশে যাবার ক্ষণ গনণার কালে
যেমন পৃথিবী চেয়েছিলেন তেমন পৃথিবী না পেয়ে - হতাশ না হয়ে
অনুজের দিকে তাকিয়ে ছিলো - আশায়, সুন্দর সমাজের ভালোবাসায় ।
সেই অনুজকে যেতে দেখে বিপথে -  
অন্তরে ঝিনুকের মুক্তা লুকানোর মতন আদর রেখে লুকিয়ে –
শাসন করে, সঠিক পথে চলার উপদেশ দেবার কালে-
চোখ দুটো করে শিমুলের মতন লাল !
ঐ চোখ দুটো ভালোবাসি ! বড় ভালোবাসি । সবসময় ভালোবাসি  ।