জলপাথর চাপা থাকে মাথার উপর। যদিও পুকুরটুকুই সীমানা তবে নির্দ্রিষ্ট মানচিত্র।
আপন ভূমির ভালোবাসায়, মোহময়তায়- শিকড় এই কাঁদা মাটি জলেই গ্রোথিত।
কখনো বহিরাগত, কখনো অভ্যন্তরীন রাক্ষুসে প্রাণীসকল ঠোকড় মারে, মারতে চায়! নতুন, পুরাতন আরও বিপদ কতো!
তবুও সংগ্রাম করে বাঁচিয়ে রাখতে হয় দেহ-সম্মান, শিকড় পাকাপোক্ত করার অব্যহত চেস্টা কর্ম,
বাকি সহোদরদের নিয়ে নিরাপদ পুকুরের প্রার্থনাও বাঁচিয়ে রাখতে হয় অবিরত।
হঠাৎ হঠাৎ মাথার উপর শ্যাওলা আসে, জলে ভাসে-
উঁচু শিড়ে উর্ধ্বমূখী স্মৃতিসৌধের চেহারারূপ শাপলাকলির আলোক অভিযাত্রা- বাধা মানে না কোন!
আপনরূপে, আপনগুনে পুরো পৃথিবীকে মোহিত করার বাসনায়- ফোটে ঝাঁকে ঝাঁকে স্বাধীনতা!
ঝাঁকে ঝাঁকে শাপলা হাসে!
প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম হাসে!
স্বাধীনতার গানে গানে-
আগামী প্রহরগুলো হাতছানি দিয়ে ডেকে বলে,
এইতো শুরু হলো- পৃথিবীর বুকে অবিরত শাপলা ফোটার জয়োল্লাস।