তোর সাথে আমার সেই দিন গুলি তাই
তুই আর আমি,আমি আর তুই
দুজনে দুজনার ছারা ছিলোনা কিছুই।
এক সাথে চলা, ইচ্ছে না হলেও বলা
কত বকাঝঁকা, দুষ্টুমি আর খুঁনসুটি চলেই।
সব কিছু মিলে দুজনে দুজনার বলেই।
ইচ্ছে করেই স্কুল ফাঁকি দিয়ে শাপলা তোলা
বড়ই গাছে ঢিল, জাম কুরানো,
তেঁতুলের ডালে।
বকুল ফুলের মালা গাঁথা, কদম ফুল পারা
বৃষ্টির দিনে আনন্দের শেষ কোথায়!
বই খাতা জামা পলিথিনে ভরে বৃষ্টিতে ভেজা
চলার পথে পুকুরে ঝাঁপ কাদা নিয়ে খেলা।
মনের আগচরে নয়তো বা খেঁয়ালে
ছুঁয়ে দিতি  হাত আমার সিঁথিতে
ভাবতাম দিনগুলি যাবে এভাবেই চলে।


বিকেল হলেই ছুটতাম পাখির বাসার খোঁজে
উটতাম গাছের ডালে, আনতাম পাখির ছানা
পাখির ছানাকে আদর করতি সোনা ময়না!
হঠাৎ বলতি!তোকে কিন্তুু দিবোনা পাখি ছানা
অবাক হয়ে! বলতাম আমি কিরে?
পারলাম আমি বলছিস এখন দেওয়া যাবেনা
তাইলে তুই কেন নিবি? পাখির ছানা।
বাহরে! বন্ধু না তোর? নিতে কেন মানা?
আনছিস কিন্তুু আমার জন্য তা কিন্তুু জানা
এতো সহজেই বুঝতি যে কিভাবে
               আমি বুঝতাম না!
মাঝে মাঝে ফুটবল খেলতাম আমি
মাঠের এক কোনে বইখাতা নিয়ে
বসে থাকতি তুই।
আনমনে দেখে ছুঁটে আসতাম তোর কাছে
আর একটু খেলি?অনুমতি নিতাম
নাক ফুলিয়ে বলতি তুই হুম!
যানি ইচ্ছে নেই শুধু আমার জন্য
মাঝে মাঝে বিরক্ত হয়ে বলতি
গেলামা আমি চলে তুই থাক
খেল সারা দিন ভরে।


দিন শেষে বাড়ি ফিরতে
ছুটতাম দুজনে তড়িঘড়ি
বাড়ি ফিরে দেখতাম মায়ের চোখে আঁরি
দাঁড়িয়ে আছে পানটি হাতে আজ মরি।
বাড়ি ঢুকতেই পরতো পিঠে দু চার বারি
ধুম ধাম মারের চোটে
পালাতাম দাদির কাছে।
বাবার কাছে বিচার হবে রাতে ফিরলে
বাবার ভয়ে ফিরতামনা আর ঘড়ে।
দাদির কাছেই থাকতাম সে রাত
আসতো ফিরে আবার নতুন প্রভাত।
সকাল হলেই উঠতাম তারাতারি
স্কুল যেতে হবেয়ে দেরি
নইলে আবার পরবে পিঠে বারি
ঘুম থেকে উঠতেই দেখি ও মাহ!
প্যান্ট কেন ভেজা! তাইতো
দাদির বিছানায় দিছি হিস্যু করি
হঠাৎ সুনতাম তোর কন্ঠ ডাকছিস আমায়
কিরে স্কুল যাবিনা আজ? হচ্ছে দেরি!
দুজনে চলতাম এক নতুন দিনে
এভাবেই চলতো তোকে নিয়ে
কোথায় গেল সেই দিন গুলি হারিয়ে।
এখন আর লাগেনা একজন অন্য জনকে
একসাতে চলা সেই পথ গেছে বেঁকে।
তবু মনে হয় যদি পেতাম ফিরে!
আসবে কি? তুমি এ পথ ধরে
নতুন করে নতুন কোন ভোরে
আছি প্রত্যাশার পথ প্রানে চেয়ে।।