স্পর্শের একটা ভাষা আছে ।
না বলা কথা স্পর্শেই বোঝা হয়ে
যায় মনের অজান্তে ।
ছোট্ট শিশুর ক্রন্দন
থেমে যায় মায়ের বুকের স্পর্শে ,
ডাক্তারের স্পর্শে রোগী মুক্তি পায়;
শিক্ষকের স্পর্শে ছাত্র হয় আগামী দিনের ভবিষৎ ।
প্রেমিকের স্পর্শে প্রেমিকা পায় পূর্ণতা ।
স্ত্রীর ভালবাসার স্পর্শে স্বামী পায় সুখ ।
স্পর্শের গুণে আমরা দুরকে করি নিকট
নিকটকে করি দুর ।
স্পর্শে কেউ জাত খোয়ায়
কেউ বা উন্নীত হয় ।
ঠাকুর রামকৃষ্ণের স্পর্শে
পতিতা বিনোদিনীর হলো চৈতন্য-
যে স্পর্শটা বয়ে বেড়াল জীবন দিয়ে;
নরেন হলো বিবেকানন্দ ।
এক একজনের স্পর্শে জীবনের
মোড় ঘুরে যায় ।
তাইতো অসুস্থ হয়ে পড়লে
আজও খুঁজে ফিরি
উষ্ণ ললাটে মায়ের হাতের
শীতল শান্তির পরশ  ।।


বারাসত,কোলকাতা-৭০০১২৪,


২১।০৮।২০১৩