আমি এক বহতা নদী-
এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ভেসে বেড়াই,
কখনও ভারতের মাটি,
কখনও বাংলাদেশের মাটি
ছুঁয়ে যাই ।
যে নামে খুশী ডেকো আমায়,
নামে কি আসে যায় ।
তবে জেনো,জন্মদাত্রি মা,
আমারও মা,তোমারও মা ।


তৃষিত পরাণ জুড়িয়ে নিও,ভিজিয়ে নিও,
অবক্ষয়ের যত ক্লান্তি,তা আমাতে সঁপে দিও ।
আমার মাঝে ভাসে কত নাও,মাঝিমল্লার গান,
এপার বাংলা ওপার বাংলা মিলেমিশে করে স্নান ।
কত বণিকেরে পার করি আমি নিত্য নতুন সাজে,
দুই বাংলার ইতিহাস আজও লেখা আছে হৃদি মাঝে ।
পুড়বে যখন শ্মশান ঘাটে তোমার প্রিয়ার দেহ,
নীরবে শুধু কাঁদব আমি দেখবে না আর কেহ ।
শ্মশানযাত্রী ঝাঁপ দেবে মোর স্বচ্ছ শীতল জলে,
আমার বেদনার নয়নজল ঘটে নেবে তোমরা তুলে ।
এমনি করে বয়ে যেতে যেতে ধাই সাগরের পানে,
সাগর আমায় বুকে টেনে নেয় মাটির রঙ না গুনে ।
আমি যদি হই গঙ্গা,পদ্মা,যদি হই ভাগীরথী,
নীরবে বইব,আর শুনব দুই বাংলার কাব্যগীতি ।।