কনকনে ঠাণ্ডা,কুয়াশা ঢাকা সকাল,
সর্ষেখেত থেকে ভেসে আসছিল কান্নার আওয়াজ-


সর্ষেখেতে নিথর দেহ-পাশে বসা শিশু
মাকে জাগানোর অদম্য বাসনা-
অবোধ শিশু বোঝে না যে মা আর
কোনোদিন জাগবে না ।


কে বা কারা সাবিনাকে হত্যা করলো-
একটু পেছনে ফিরে দেখা যাক,
বছর আটেক আগে সাবিনা আর মিঠুন ঘর বাঁধে,
ভাগ্যের পরিহাস-মিঠুন সাবিনাকে তালাক দেয়,
পরিতক্ত্য যুবতী সাবিনার ঠাঁই মেলে দিদিমার কাছে ।
সাবিনার জীবনে নেমে আসে দুর্বিসহ কালো দিন,
একদিকে অভাব,অনটন অপর দিকে উপোসী যৌবন,
স্বভাবতই শকুন চিলেরা সুযোগের অপেক্ষায়-
এ ভাবেই সাবিনার অন্দরমহলে ঢুকে পড়ে এক প্রতারক ।তার দৈন্যতা ও দুর্বলতার সুযোগে এমনকি তাকে
বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সর্বস্ব লুট করে ।


অবশেষে সর্ষেখেতে নিথর দেহ-
নির্বোধ অসহায় শিশুটি মাঝে মাঝেই কেঁপে উঠছে-
ও বোধ হয় এখনও বুঝে উঠতে পারেনি যে তার
একমাত্র অবলম্বনকারী মা চির নিদ্রায় মগ্ন-
তাইতো শিশুর মা ডাক হলুদ সর্ষেখেতে হারিয়ে যায় ...


(সত্যঘটনা অবলম্বনে এই লেখা,গত ১৬।০১।২০১৪
বর্ধমানের কাটোয়ায় সিপাইদিঘি মোড়ের কাছে সর্ষেখেতে উদ্ধার হয় এই যুবতীর নিথর দেহ,তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়,আমরা এহেন অপরাধীর
কঠোরতম শাস্তির দাবি জানাই ।)