(বাস্তব প্রেক্ষাপটে রচনা)


সওদাগরী আফিসের কেরাণী-
মেরেকেটে অন্ন বস্ত্রের জোগানেই অস্থির,
তায় আবার গৃহিনী চির রুগ্ন,
হেন রোগ নাই যে  নেই তার ।
স্বপ্ন দেখে একটা স্থায়ী আস্তানার;
নুন আনতে পান্তা ফুরোয়-
মাসের অর্ধেক যেতে না যেতেই হাত পাতা ...
স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায় ।
সাধ করে কখনও রেস্তোঁয়ায় পা রাখার
স্পর্ধাও দেখায় না ।
সিনেমা থিয়েটার,হাওয়া বদল এসব তো দূরস্ত ।
গতানুগতিক জীবনে একটাই স্বপ্ন
ছেলে মস্ত বড় হবে,সব অপূর্ণ সাধ
পূরণ করে দেবে ।
তাই সমস্ত স্বাদ-আহ্লাদকে দূরে সরিয়ে রেখে
ভবিষ্যৎকে বাজি ধরে,শত কষ্টকে উপেক্ষা করে
একমাত্র বংশধরকে মানুষ করার মহান যজ্ঞে
দিনরাত প্রাণপাত-
সন্তান স্নেহে অন্ধ হয়ে জীবনের অনেকটা সময়
ব্যয় করে তাকে সফলতার মৈনাক মিনারে ...


হ্যাঁ সন্তান মস্ত বড় হয়েছে-উপার্জনও করছে,
স্বাধীন হয়ে নিজের ভালমন্দ নিজের হাতেই রেখেছে;
তাই জীবনসঙ্গী নির্বাচনের দায় থেকেও রেহাই দিয়েছে,
দেবেইতো,অবসর প্রাপ্ত কেরাণী পিতার সাধ্যি
আছে নাকি যোগ্য পুত্রবধূ সন্ধান করার ?


আজও হতভাগ্য কেরাণীর জীবনপঞ্জি একইরকম রয়ে গেলো,অভাগিনী মায়ের চোখের জল শুকিয়ে গেলো,
সন্তান মস্ত বড় চাকুরে-
অসুস্থ অসহায় দুটি জীবনের
শেষ ঠাঁই হলো বৃদ্ধাশ্রম ।।