সেদিন  দেখি অমল ডাক্তারবাবুর ডিসপেন্সরিতে বৃদ্ধ এক রোগী এলেন জ্বরে কাঁপতে কাঁপতে রোগী এসে বললেন কেশে, আমায় দেখুন বাবু দুদিন ধরে শুয়েই আছি জ্বরে হয়ে গেছি কাবু।
খাইনি দুদিন ভাত-মুড়ি-ফল, খাচ্ছি শুধুই জল তাই তো দেখুন কাঁপছি আমি, হয়ে গেছি দূর্বল।
এমন কিছু করুন যাতে খেতে পারি পেট পুরে আশিস দেব, বকশিস. জ্বর যদি যায় সেরে।
রোগীর কথা শুনে ডাক্তারবাবু দিলেন তাকে বসতে, ধমকের সাথে বললেন তাকে একটু কম বকতে।
হাতটি টিপে, চোখটি টেনে, নিলেন চেক-আপ করে তারপর মস্ত এক থার্মোমিটার দিলেন তার মুখে পুরে।
মিনিট দুয়েক পরেই সেটিকে মুখ থেকে বের করলেন, ছাড়া পেয়েই বৃদ্ধ রোগী বক্-বক্ করতে লাগলেন।
ডাক্তারবাবু থার্মোমিটারের পাঠ দেখতে দেখতে বললেন-
চিন্তার কোনো কারণ নেই, আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন।
এই ওষুধগুলো লিখে দিচ্ছি, নিয়ম মাফিক খাবেন হপ্তা খানেক পরে আর একবার চেক-আপ করতে আসবেন।
সেদিন না হয় ফিজ্টা নেব, যদি সুফল পান জ্বর না সারলে ফিজ্ নেব না, হবে মোর লোকসান।
দিন সাতেক পরে বৃদ্ধ আবার ডাক্তারবাবুর চেম্বারে এলেন নিজ সুস্থতার কথা জানিয়ে ডাক্তারবাবুকে ধন্যবাদ দিলেন।
তারপর ডাক্তারবাবুকে শুধোলেন - আপনার  ফিজ্টা যেন কত?
সসঙ্কোচে ডাক্তার বলেন- বেশি নয়, মোটে এক হাজার পাঁচশত । বৃদ্ধ তখন হয়ে বললেন - দেড় হ-জা-র!
ডাক্তার বললো -  আ-গে হ্যাঁ, বৃদ্ধের হল জ্বর আবার ।