চম্পা চামেলি কেউ কথা রাখেনি
সবাই গেছে চলে
শীতের আগমনে।


জুঁই বলে যায় কানে কানে,
রজনীগন্ধা হাসনা হেনা ভাই
জেগে উঠো কেন তোমরা সন্ধাকালে।
সন্ধ্যামালতী করে মিনতি,
ওগো নিশি তুমি যেওনা চলে,
সবই বিফল, তুমি চলে গেলে
মোদের গন্ধ যাবে হারিয়ে।
টঙিঘরের পাশে,
জেসমিনের গন্ধে মাতাল ভূবন,
কামনা লাগে, নেশা চোখেতে,
সাদ জাগে মনে,
আপন করে পেতে
মায়াবী কামিনী।


গোলাপি গোলাপের প্রলাপ
শুনিয়া হায় হায় করিয়া
জাগিয়া উঠিলো ডালিয়া
আনার ফুল।
বাসনা জাগে দেখিয়া বকুল,
খোঁপায় বেলী জবা ফুল।


গাদাফুলে ভরা ডালা,
গাঁথিয়াছি মধুমালতীর মালা।
অভিমানে দোলনচাঁপা
এলো হেলিয়া দুলিয়া,
নিঠুর বন্ধু গিয়েছো কেমনে
তুমি মোরে ভুলিয়া।
সূর্যমুখী বলে সূর্যরে
চেয় থাকো মোর পাণে
নাই কি তোমার লাজ।
গ্রীষ্মের রাজকুমার গন্ধরাজ
নমনীয় কোমল মিষ্টি সুগন্ধ
ছড়ানো তার কাজ,
তাইতো সে হয়ে গেল
রাজকুমারীর মাথার তাজ।


এলোমেলো বাতাসে
বসন্তের সমিরণে,
প্রকৃতি সাঁজে নানারূপে,
ভ্রমর গুঞ্জরণে
ফুলের কোলে কোলে।
রঙিন ডানা মেলে
প্রজাপতি উড়ে কাননে কাননে।


গ্রীষ্ম আমের মকুল
বর্ষায় ফুটে কদমফুল,
শরতে শাপলা তুলে ভরিয়াছি নায়ে
আনন্দের বারিধারা লাগিয়ে গায়ে,
ছুটবেলায় মেড়ুয়া হাওরের কোলে,
হেমন্তে মাঠে পাখা ধান।


সাদ না মিটিলো আশা না পুরিল,
দেখিয়া খোদা তোমার মহা দান,
সাদ্য নাই মোর দেওয়ার প্রতিদান।


ক্ষমা করো ক্ষমা করো
ওগো নাম নাজানা বনফুল,
এ যে মোর ভুল,
মোর কামনা কর কবুল।
এনেছি তুলিয়া
মোর প্রিয়ার !
লাল গোলাপ ফুল ।