শরৎ এসেছে সেই কবে,
বরষার বিষণ্নতা তবুও কাটে নি।
বাতাসে আদ্র বহতা,
গগণে শুভ্র মেঘরাশি,
যেন বিষণ্নতার কালো ধুম্র কুন্ডলী।
একপসরা বৃষ্টি চুবসে যায়,
ভাবনার উড়ন্ত কাঁশফুল,
মুখ থুঁবড়ে পড়ে আবেগের বলাকা।
মেঘের ভাঁজে সূর্যটার লুকোচুরি,
আচমকা প্রখর রৌদ্র রশ্মি,
কালো মেঘ ফেঁড়ে নেমে আসে মর্তে।
যেথায় বিষণ্নতা ভরাক্রান্ত,
আমার বদন।
মনের মাঝেও শরৎ শ্রাবণ খেলা,
কখনো রৌদ্রের ঝলসানী,
কখনো মেঘে ঢাকা গোঁমড়ামী।
ভেবেছিলাম শরতের শুভ্র কাঁশফুলে মিশে,
মুক্তমনে হাসবো একদিন।
সে হাসি বার বার স্তব্ধ করে, এ কোন নিয়তির কৃষ্টি,
নির্বাক ঝরে আবেগের বিষণ্ন বৃষ্টি।


-সংশোধিত