ভিড়লো না,
        আজও ভিড়লো না মোর ভগ্নতরী,
                        সেই ঘাটে,
        রবি সুকান্ত, নজরুল , জীবনানন্দ,
                    ভিড়িয়েছেন তরী,
                       যেই ঘাটে।
                       যে দুর্দিনে
                 নজরুল গেয়েছেন,
"বিদ্রোহী" গান, আর"কান্ডারী হুঁশিয়ারী",
         যে আবেগে পূর্ণ, রবি ঠাকুরের,
                     "সোনার তরী"।
                       যে দু্র্যোগে ,
        সুকান্ত গেয়েছেন, ন্যায়বাদী  গান,
             যে প্রেমে পূর্ণ জীবনানন্দের
                      "বনলতা সেন"।
যে মোহ মায়া,আবেগে ভরে বলেছিলেন,
                 "আবার আসিব ফিরে",
                     এ বাংলার তটে,
                        ভিড়লো না,
      আজও ভিড়লো না মোর খেঁয়াতরী,
                        সেই ঘাটে।
                যে ঘাটে ভিড়িয়ে তরী,
জসীম উদ্দীন লিখলেন "নকশি কাঁথার মাঠ",
                পল্লিবালার প্রেমসিক্ত,
                "সুজন বাদিয়ার ঘাট"।
যে তরী বেঁয়ে রুদ্র গাইলেন বিশ্বমুক্তির গান,
    রোকেয়া, সুফিয়া, সুকুমার, মাইকেল,
                হয়ে রইলেন চির অম্লান।
                 যে ঘাটে ভিড়িয়ে তরী,
অজস্র মানব মানবী, হইলেন চির স্মরি,
                     ভিড়লো না,
    আজও ভিড়লো না,সেই ঘাটে মোর
                     ভগ্ন এ তরী।
           যে ঘাটে শরৎ এর "দেবদাস",
মীর মোশারফ হোসেনের,  "বিষাদ সিন্ধু ",
     যে ঘাটে হিমু,হাসন,শামসুর রাহমান,
                   লালনের দীনবন্ধু।
      যে তরীর মাঝিগণ হারায় না কভু,
                 চির তিমিরের তটে,
                        ভিড়লো না,
     আজও ভিড়লো না মোর ভগ্নতরী,
                      সেই ঘাটে।
যে তরী বেঁয়ে গেছেন অজস্র মনীষা মনীষী,
                বাংলার মাঠে বাটে,
                     ভিড়লো না,
    আজও ভিড়লো না মোর খেঁয়াতরী,
                     সেই ঘাটে।
                   হে প্রভূ যদিও,
পাপী তাপী চির মূর্খ আমি, তবুও নাও মোরে                                    
                 সেই সত্যের বাটে,
ভিড়াও মোর ভগ্নতরীখানি সেই অবিনাশী,
                  সাহিত্যের তটে,
         চির স্মরণীদের চির মহান,
                    সেই ঘাটে।


                      


রচনাকালঃ২০/১২/২০১৪ ইং