খোলা আসমানকে ছাদ করে পড়ে আছি,
কালের নির্জন দ্বীপে।
অথই জলরাশি বিস্তৃত প্রান্তরে,
যামিনীর ছোঁপ ছোঁপ বিদঘুটে অন্ধকার,
নিশাচর আর অশরীরীর আনাগোনায়,
নির্বাক কম্পিত বক্ষে
প্রস্তর চাপা দিয়ে,
উর্ধ্বমুখে বেখেয়ালে গুণে চলেছি আবছা নক্ষত্র।
অবনীর এ প্রান্তে অজস্র জনারণ্যও,
নিঃসঙ্গ আমি।
অন্ধকারের অশরীরী কদর্য্য থাবা আকড়ে ধরেছে আমায়,
ওরা যেন আমার নিত্য সঙ্গী,
আমি অন্ধকারের ক্লান্ত পথিক এক।
আমি যেন মিশে গেছি,
ওদের মাঝেই।
এখানে প্রদীপ্ত দিনমনি যেন,
লজ্জায় অবনত,
কাদম্বিনীর আঁড়ে মুখ লুকায় দীপ্ত শশী।
আলোর দেখা মেলে না তাই,
আঁধারকে আজ বড্ড ভালবেসে ফেলেছি।
পদে পদে অপবাদ অপমান অবজ্ঞা সয়ে,
নিজেকে আজ মিশিয়ে নিয়েছি ওদের সনেই।
আমি স্বপ্নের পেয়ালায় পান করি,
বিদঘুটে অন্ধকার।
ভেঙে গেছে জীবন ঘুড়ির লাটাই,
এলো পবনে উড়ে চলেছি বেওয়ারিশ শুকনো পাতার মতো
অস্তগামী শশীর সনে গড়েছি মিতালী,
ডুবে যাবার ব্যঘ্র প্রতীক্ষায়।


-সংশোধিত