তোর চোখে চোখ রেখে কেটে গেছে একশো কোটি বছর !
তবুও পাইনি খুঁজে এক টুকরো প্রণয় অর্ণব।
কেনই বা পাব,
অভিমানের বিষম আব্রুতে হয়ত নিজেই নিজেকে রেখেছি ঢেকে
যুগ হতে যুগান্তরে।


আমার চোখেছিল কামনার নির্যাস
হৃদয়ে মোনকাটার জীর্ণ অরণ্য
মৌনতার বিষপ্রলয়ে গড়েছিলি তাই তমস্র প্রাচীর
বড্ড অভিমানে আমিও ছিলেম মুখোমুখী থেকেও যোজন যোজন দূরত্বে।


হৃদ সরোবরে ফুটেছে আজ নিখর্ব নলিন
মৌনতার দুর্ভেদ্য তিমির কেটে,ভাবনার অলিন্দে হাসে প্রোজ্জ্বল শরদিন্দু
চল সখি আজ মর্তচ্যূতি দেববাসী হই
অভিমানের আড়ষ্ট প্রাচীর ভেঙে স্নান করি দু'জন অচ্ছোদসরসী নীরে।
চল আজ বৈরাগী হই প্রণয়বনে
শতাব্দীর শুষ্ক চঞ্চু ভিজাই অকলজলদোদয়ে।


আজ ভুলে যা সব নির্ঋতি নিনাদ
শিঞ্জিনীপদে নৃত্য প্রণয়ছন্দে আয়,বেণীর বাঁধনে বাঁধিসনে কুন্তল।
চল আজ গা ভাসাই কাশফুলের শুভ্রারণ্যে,ডেঁড়েমুষে পান করি শশধর সুধা
প্রণয় প্রলয়ে ভাসাই হিয়া ভেঙেচুরে সব অভিমান,
তৃষিত বুকে সূচিত হোক নবযুগের নব উপাখ্যান।


(সংশোধিত )