বরষার দিনে,
বিমর্ষ গগণ জুড়ে কালোমেঘের লুকোচুরি,
গম্ভীর রূপ আর নিরব নিস্তব্ধতা।
যেন পৃথিবীকে ধুয়ে দিতে  নেমে আসবে পুরো গগণটা।


দিবসের প্রভাটুকু ক্ষীণ হল,
ঘন তিমিরের আবছা আলোয় নিঝুম অবনি।
খুলে গেছে দখিন বাতায়ন,হিম হিম পরশ বয় উষ্ণ হৃদপ্রান্তে।
গগণ কার্নিশ বেয়ে নেমে এলো প্রশান্তির প্রস্রবণ,
ঘরে আর বসছে না মন।
জংধরা পুরানো সেই স্মৃতিগুলো করে অনল অনশন,
মনেপড়ে সেই হারানো ছেলেবেলার কথা।


মনেপড়ে, শ্রাবণের এমন দিনে,
ভেজা শেয়ালের মতো থই থই করে ভিজতাম বলে,
বদ্ধ ঘরে কপাট মেরে আটকে রাখতো মা !
তবুও দুরন্ত মন,
উঁইপোকায় খাওয়া জানালার গ্রিল ভেঙে পালিয়ে বৃষ্টিতে ভিজতো।


আজ অনেকদিন পর, সেই ভাঙা জানালার গ্রিল ধরে বসে আছি,
অনেকটা মুক্ত স্বাধীন।
ভিজে গেলে জ্বর আসার ভয় নেই,
নেই ঠান্ডা বা নিউমোনিয়ার।    
তবুও আগের মতো আর ভিজতে চায় না মন,
বৃষ্টির জল এখন যেন বড্ড বিষাক্ত,
নিয়তির উষ্ণ পরশ বড় বাঁধা।


তবুও উড়ু মন, ছুটে যায় ভিজতে কভু আগের মত নয়।
সময় এখন বড্ড হিংস্রতর,
দুর্গম কণ্টময় সেই পথ,
এখন ভিজি আবেগের জলে,
বরষা এখন আমার চোখে ধূসর কুজ্ঝটীকা।


-সংশোধিত
-"সোনালী নোলক"-যৌথ কাব্যগ্রন্থে প্রকাশিত।