দুঃষহ এ যাতনা আর সহে না,
মৌনতার ঝড়ে আজ তিক্ত ভূবন,
দৈন্যতা যেন দানবের মত ধাওয়া করে চলছে অহর্নিশ।
উর্ধ্বশ্বাসে মাঝে মাঝে মনে হয়, দৈন্যতাকে গলা টিপে হত্যা করি,
ছিঁড়ে দিই অনটনের বিদ্রোহী ডানা।
দৈন্যতার বিষাক্ত আষীবিষ নীল করেছে মোর দুরন্ত স্বপ্নগুলো।
যতটা এগুতে চাই,
দৈন্যতার শিকল ততটাই পিছুটানে।
ভাবছি, কি আর হবে
সুশিক্ষার সার্টিফিকেট গায়ে মেখে মাকালফল সেজে ?
তিলতিল করে ধসে যাচ্ছে শত সহস্র সাধনালব্দ জীবন,
আজও একটি গোলাপ হয়ে ফুটলোনা কেউ, উষর এ হৃদকাননে।
বেকারত্বের উঁইপোকা তিলেতিলে গিলে খাচ্ছে দুর্বার যৌবন,
আজও মুছতে পারিনি বৃদ্ধমাতার ক্ষুধাতুর অশ্রু।
ক্ষণে ক্ষণে বিক্ষোভে হই বিস্ফোরিত,
মনে হয় আদর্শকে লাথি মেরে গড়ে তোলি চন্দ্রনগর।
ধনীর সিন্দুক ভেঙে দু'মুঠো অন্ন বিলাই অনাথের মুখে।
নতুবা গৃহত্যাগী সন্ন্যাসি হই।
তাতেও পিছুটান।
আজ দৃঢ় প্রত্যয়ে সত্যিই দৈন্যতাকে হত্যা করব,
মানবোনা হার,
জয়ী হবই,
নিয়তির কঠিন শিকল ছিঁড়ে,
ভাগ্যটাকে সত্যিই পাল্টে দিবো ইতিহাস গড়া মানুষগুলোর মতো।


-সংশোধিত