আমি বিকল বসুধার মুক্তির কথা বলছি,
জীর্ণ সভ্যতার সংস্কারের  কথা বলছি।


জাগো হে নবীন কিশোর,
কণ্ঠে লয়ে অনন্তধারায় চিরমুক্তির সুর ।
জাগো হে  বীর বীরাঙ্গনা,
জাগো নির্ভীক চিত্তে অন্যায় অত্যাচারের দুর্ভেদ্য প্রাচীর ভেদি,
গেয়ে যাও বিশ্ব মুক্তির তান, দুর্মর অবিনাশী কণ্ঠে নিরবধি।


জাগো হে বীর,
জাগো উর্ধ্বশিরে উচিয়ে শমশের,সপ্ততল মৃত্তিকাভেদি
পাড়ি দিতে শোষণের কণ্টক নদী।
জাগো অনয় সমুদ্রের অজস্র বিষাক্ত ঊর্মিগ্রাসী,
ছিন্ন করো শিকল,কণ্ঠে লয়ে মৃত্যুঞ্জয়ী ফাঁসি


জাগো হে যোয়ান, জাগো হে ঘুমন্ত,
হয়ে দুর্মর দুর্বিনীত অশান্ত।
লক্ষ বক্ষে লয়ে অমিয় সত্যের বাণী,
ছিন্ন করো অন্যায়ের আড়ষ্ট শিকল খানি।
জাগো চিরজাগ্রত হয়ে চির মহান,
কণ্ঠে কণ্ঠে তোল বিদ্রোহী সুর চির মুক্তির তান ।
জাগো হে নবীন বীর,
সাজাও এ ধরাধাম চির মজলুমের নীড়।


জাগো হে বীর,
জাগো বিকল অবনীর মরীচিকা ঝেঁড়ে,
দেখো কিসের গ্রাসে এ ধরিত্রী রয়েছে পরে।
দেখো কিসের তরে,
অনাথ এতীম অসহায়ের নেত্রযূগল অশ্রু ভরে।
জাগো হে জাতির কর্ণধার,
ফিরিয়ে দাও তাদের অধিকার।


জাগো হে বীর,
জাগো জুলুমের মহাজলধিতে প্রচন্ড বিক্ষুব্ধতায় বিস্ফোরিত আগ্নেয়গিরির মতো,
চূূ্র্ণ করো এ ধরার সকল ত্রাস অন্যায় অবিচার জুলুম,
শোষন বঞ্চনা যত।
জাগো ন্যায়ের পথে বারবার মরতে,
নির্মম নির্যাতনের হস্ত চূর্ণ করে দিতে।


জাগো হে বীর,
জাগো অনাথের পাশে দাঁড়াতে,
এতীমের মুখে দু'মুঠো অন্ন তুলে দিতে।
দেখো ছিন্ন বস্ত্র পরে
কতো জননী রাস্তায় ভিক্ষে করে ।
শুধু দুধের শিশুটি বাঁচাতে আর পেটের দায়ে,
কতো রক্তচোষা ধনীর পদপ্রহার পরে তাদের গায়ে ।


জাগো হে বীর,
জাগো জননীর চির জাগ্রত সন্তানেরা, ভেঙে দিতে এ আগল
রক্তচোষা অহংকারীর সেই পদযূগল ।
উপড়ে দাও তাদের অত্যাচারী রক্তচক্ষু
চূর্ণ করো সকল অহংকার,
সত্য ফুলের ডালিভরে সাজাও সংসার।
জাগো হে নবীন,
কণ্ঠে  লয়ে অগ্নিবীণ,
ঝেঁড়ে  দাও বিশ্ব বৃক্ষের বিষাক্ত জীর্ণ পত্র পল্লব,
নব কিশলয় নব পুষ্পে জাগাও নব বিল্পব ।


জাগো হে বীর,
জাগো স্রষ্টার  বিশ্ব ব্রমাহ্ম নবরূপে  সাজাতে,
অদ্রিসম  অন্যায় চূর্ণ  করে দিতে।
ন্যায়বাদী পুষ্পের মাল্য দিয়ে,অসাড় অবনীর জীর্ণতা মুছে দিতে
কণ্ঠে কণ্ঠে  গাও সত্য ন্যায়ের গান,
ধরিত্রীর সকল জীর্ণতা হোক চির অবসান।


         -সংশোধিত


রচনাকালঃ০৫/০৬/২০১৩ ইং