জীবনের একটা দীর্ঘ পরিক্রমণ শেষে, নিজের প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির স্বাদ হিসেব চুকে গেছে।
জীবনরেখার ঠিক মাঝামাঝি এসে দাড়িয়ে ,আমি যেন দেখতে পাচ্ছি
দক্ষিণের যতটা পথ হেঁটে এসেছি, উত্তরের ততটা পথ ধূসর আবছা কুহেলিকা,
পূণ্যের পাত্রে তলানি জল আর গড়িয়ে পড়ছে পাপের।
ঊনত্রিশে যততটা পেয়েছি,
হয়তো ত্রিশেই সব হারিয়ে ঋনাত্মক।
পঁচিশে যা ছিলো না, হয়তো পঁয়ত্রিশেও তা আর হবেনা।
বিশে যা পাইনি, হয়তো চল্লিশে তা পাবো।
পনেরই যা ছিলোনা, হয়তো পঁয়তাল্লিশে তাই থাকবে।
দশে যা ছিলো, হয়তো পঞ্চাশে তা হবেনা।
পাঁচে শিশু ছিলেম, হয়তো পঞ্চান্নয় তাই হবো।
শূন্যতে ভ্রূণ ছিলেম, হয়তো ষাটে তাই হবো।
অতঃপর দক্ষিণে যেমন বিলুপ্ত ছিলেম, উত্তরে এসেও আবার বিলুপ্তি ঘটবে।
তারপর জীবনরেখার দুই প্রান্তবিন্দু অন্ধকারের একই রেখায় মিশে যাবে,
থেকে যাবে শুধু,
একটা ষাট বছরের দুঃখ সুখের প্রকাণ্ড দীর্ঘশ্বাস।