যখন সিথানে নক্ষত্র পেতে ঘুমিয়ে যাব চির শীতল ঘুমে,
আযানের সুমধুর ধ্বনি, মন্দিরে কাঁসার ঘণ্টা,
তখনও হয়ত বাজবে।
সুবহ সাদিকের আচ্ছাদন টুটে, রক্তরাগে তখনও হাসবে দিনমণি,
প্রভাতের কাঁচা রোদ লুটোপুটি খাবে,
আমার নিলয় অলিন্দে।


শীতের প্রাতেঃ দূর্বা ডগায় জমবে নীহার বিন্দু,
পথের ধারে তখনও ফুটবে অবহেলিত ভাঁটফুল,
ফুলখড়ির বনে জড়াবে গূল্মলতা,
মান্ধার ফুলের ডালে মুখ লুকাবে গোবরে শালিক
ভীষণ বিষন্নতায়,
প্রসূন বনে কূঞ্জরিবে মধুকর,
শর্বরীর কোল চুুমে হেসে উঠবে পূর্ণিমার পূর্ণশশী।


শুধু আমি থাকব না এদের ভিড়ে,
প্রয়াণগরল পিয়ে কালের ক্লান্তি চুমে নিষুপ্তি যাব,
ঘোর মহাতন্দ্রায়,
ধসে যাওয়া ক্লান্ত উল্কার মতো, কখনো আর ফিরব না নক্ষত্রপুঞ্জে।
___


{2016 সালে বাংলার কবিতাপত্র ঈদ আয়োজনে প্রকাশিত।}


(সংশোধিত )