যখন রক্তেভেজা স্বাধীন মাটিতে,
অধিকারের ঘ্রাণ মুছে দেয় ক্ষমতার দাপট,
ইতঃস্তত দুর্নীতি,
শ্লথ হয়ে আসে ন্যায় বিচার,
দুর্বলের পেটে লাথি মেরে,
তরতরে বেড়ে উঠে সন্ত্রাস,
তখন দ্রোহগুলো জেগে উঠে টর্নেডোর মতো।
যখন পত্রিকার পাতায় নিয়তই দেখি ধর্ষণ, হত্যা, গুম,
তখন জুড়িয়ে যায় চায়ের পেয়ালা,
বিস্ফোরিত আগ্নেয়গিরির মত জেগে উঠে  দ্রোহগুলো।


যখন রাজনীতির রোষানলে দগ্ধ হয় একটি সংসার,
পুড়ে যায় অজস্র স্বপ্নগুলো,
স্বাধীনদেশের মুক্ত পবনে,
নির্বিঘ্নে উড়ে চলে পরাধীনতার ঘ্রাণ,
তখন দ্রোহগুলো জেগে উঠে গর্জে উঠা সিংহের মতো।


যখন রাঘবদের স্বেচ্ছাচারীতায়,
জনতার উপর চলে
শোষণের ষ্টীমরুলার,
ক্ষমতার দাপটে চেলা সাজে দশানন,
তখন দ্রোহগুলো জেগে উঠে ক্ষিপ্রমাণ ঊর্মির মতো।


যখন শহীদের রক্তেভেজা মাটি খুঁড়ে পাই,
কৃত্রিমতার প্রলেপ,
চেতনার পোড়া চাই,
আবেগের নিরব অশ্রুজল,
তখন দ্রোহগুলো জেগে উঠে,
একাত্তুরের তাগড়া যুবকের রাইফেলের মতো।


যখন তারুণ্যের হাতে দেখি নেশার শরাব,
নিকোটিন পূর্ণ ধূম্রকুন্ডুলী,
বিজাতীয় সংস্কৃতি,
তখন দ্রোহগুলো জেগে উঠে বজ্রাঘাতের মতো।


যখন কৃষকের রক্তঝরা ফসল, শ্রমিকের ঘাম শুষে,
পেট মোটা করে মহাজন,
স্বাধীন ভূ-খন্ডের হৃদপিন্ড চেপে ধরে,
দুর্নীতিবাজ শকুন,
তখন দ্রোহগুলো জেগে একাত্তুরের মতো।
মনে হয় যেন,
চেতনার শরাব পিয়ে ঘোরতর মাতাল হই,
চিবিয়ে খাই শকুনদের কাঁচা মাংস।


-সংশোধিত