আজ বড্ড কাঁদছো জানি,
নিস্রোতা আবেগের পয়োধিতে একগুঁয়ে নোনাজল জাগিয়ে,
অরণ্যের মুক্ত বিহগ, পিঞ্জর রুদ্ধ লৌহপ্রাচীরে।
মস্তক ঠুকে ঠুকে ঝরিয়েই চলেছো,
অবশিষ্ট রক্তকণিকা।
আমি সেই হতভাগ্য লৌহপ্রাচীর তোমার অন্দরমহলে !
নিস্তব্ধ নির্বাক।
তবে কি তোমার মস্তক ঠুকেছো আমারই বুকে ?
রক্তাক্ত করেছো আমারও বুক ?
হয়তো তাই।
তবুও নির্বাক আমি,
তুমিই বলো, লৌহপ্রাচীর কি কভু কথা বলে ?
এ বুক যে কোমল ছিল একদিন,
শরতের কাঁশফুলের মতো,
গ্রামের নির্মল প্রকৃতির মতো,
নির্জন নদীর স্রোতের মতো।
বলতো ?
কেন আজ সে হয়ে গেছে লৌহপ্রাচীর ?
যে বুকে মাথা ঠুকে পরম শান্তি পেতে,
বলতো ?
কেন আজ সেথায় রক্তঝরে ?
হয়তো, শুকিয়ে যাওয়া মৌচাকের মত মূল্যহীন আমি,
তাই তো বিষাদের গলিত ধাতুতে মিশিয়ে,
আমায় বানিয়েছো লৌহ প্রাচীর।
সুখের বসন্ত তোমার কাননে,
তবে কেন কাঁদো ?
তোমার কান্নার নোনাজলে গলাতে চাও কি ফের,
নির্বাক এ লৌহপ্রাচীর ?


-সংশোধিত