হে প্রভূ,
বসুদার যত রোগ শোক জরাজীর্ণতা,
অভাব অনটন  কষ্ট বিরহ,
অপমান বদনাম অভিশাপ,
সবই আমাকে দাও,
আমি নত শিরে মেনে নিবো সবই।
শুধু ধরিত্রীর সকল মানুষকে
শান্তি দাও,
সুখ দাও,
সমৃদ্ধি দাও।


ক্ষুধার তাড়নায় কেউ যেন,
দ্বারে দ্বারে  ভিখ্ না মাগে,
পদাঘাত  যেন না খায়।
রোগ শোক জীর্ণতায় অসীম কষ্ট সয়ে,
কেউ  যেন অকালে না মরে।


দুখের যাতনা,
সইতে না পেরে,
কেউ যেন না কাঁদে ।
অপমান বদনামে কারো  বদনখানি যেন,
মলিন নাহি হয়।


হে প্রভূ,
যত পাপতাপ, দ্বন্দ্ব হিংসার অনল,
আমার বুকে জ্বালিয়ে দাও।
যেন ধরিত্রীর কেউ,
হিংসার বশে অর্থের মোহে,
কারো অনিষ্ট না করে।


আমাকে না হয় রেখে দাও,
সপ্তদোযখে ভরে।
ধরিত্রীর সকলে বেহেশত দাও,
বিনিময়ে আমাকে জ্বলাও,
আমাকে পোড়াও,
অনন্তকাল।


আমি চাইনা জান্নাতের পরম সুখ!
ধরিত্রীর সকলেই  সুখি হলে,
নরকেই মোর পরম সুখ।


         ''''''যবণিকা ''''
  
রচনাকালঃ২১/০৯/১৪। ইং
হলদিয়া
মধুপুর,টাংগাইল।