গগণ বিদায়ী পুঞ্জিভূত কাদম্বিনী,
প্রচন্ড রোষে,নীরদ বেশে,
মর্তে নেমে এসে,
তৃষিত ধরিত্রীর তিতিক্ষা,
করে নিবারণ।
দূর্ভেদ্য অদ্রী-গিরি  ভেদি,
নির্ঝরের বহতা,
সুবিস্তৃত অম্বুরাশিতে,
করে অবগাহন।


নির্ঝরের নিত্যবহতা,
উন্মাদ খরস্রোতা তরঙ্গিনীর,
প্রবল শানিত বেগে,
সীমাহীন  আকর্ষণে মত্ত হয়ে,
মহাসিন্ধুতে মিশে,
করে তার তুষ্ণা নিবারণ।
শুভ্র নীহার কণা,
ক্ষিপ্র মলয়ে ভেসে ভেসে,
গিরিশৃঙ্গ সিক্ত করে,
হিমালয় পূর্ণ  করে,
তৃপ্ততা করে হনন।


যামিনীর শেষে ঘাসের ডগায়,
একবিন্দু  শিশির কণা,
মৃত্তিকায় মিশে,
তৃষিত মৃত্তিকার তিতিক্ষা,
করে সংবরণ,
ফুলে ফলে শোভিত করে,
সুন্দর ত্রিভুবন।
শুধু অনন্ত তিয়াসে ভরা,
এই মন,
একবিন্দু ভালবাসার তরে।


বিম্বিসার ধূসর নগর হতে,
নিশীথের মালয় সায়র,
হাওয়াই থেকে ফুজিয়ামা,
ভূমধ্য হতে কুষ্ণ সাগর,
চষে বেড়িয়েছি মরু যাযাবর,
বেদুঈনদের মত,
যুগ হতে যুগান্তর।
কোথাও পাইনি'ক খুঁজে,
এ হৃদয় সিক্ত করা,
একবিন্দু ভালবাসা।


নায়াগ্রার খর বহতা,
মরুময় এ হৃদে,
তবুও  হয়নি'ক অমৃত আস্বাদন,
অনন্ত তৃষ্ণার্ত এ মন,
ধূসর চাতকের ন্যায় ওরে,
শুধুই,
একবিন্দু ভালবাসার তরে।


  ----০-----


রচনাকালঃ২৮/১০/১৪ ইং