দুূর্গম,দুর্ভেদ্য কণ্টকময়,
         গুপ্তচূড়াবালির  বুকে,
হেঁটেছি দু'জন বহুকাল ধরে,
          যুগ হতে যুগান্তরে।


কতো শ্বাপদ-সংকুল অরণ্য,
            কতো গিরি-অদ্রী,
কতো আগ্নেয়গিরির,
             লেলিহান অগ্নিগিরি খাত,
পাড়ি  দিয়াছি দু'জন,
             দুর্নিবার  ক্ষিপ্রতায়,
             হাতে রেখে হাত।


অনল বর্ষিত তপ্ত মরুবালিকায়,
             ছুটিয়া চলেছি মোরা,
ক্লান্তিহীন অবিশ্রান্ত অগ্রযাত্রায়,
             কতো বিষাদের  নখর থাবায়,
ক্ষত-বিক্ষত করেছে,    
              তোমায়  আমায়।


বুভূক্ষু হায়েনার পদচারণায়,
              পাড়ি  দিয়াছি,কতো কলো শর্বরী,
কতো বিষাদসিন্ধু,
              ওগো বন্ধু।


তুমি তো কথা দিয়েছিলে,
              কাল শমনেও,
               ছিন্ন হবেনা এ বন্ধন!
তবে কেন.....................?


বিষাদের  অতল গহ্বরে,
             বিরহের গভীর  চোরাবালিতে,
গহীন অরণ্যের কোন এক,
              বীভৎস তিমিরাছন্ন  গুহায়,
ফেলে গেলে আমায়?


এখানে বীভৎস লাশের মর্গ,
             সীমাহীন বিরহী  কঙ্কালের স্তুুপ,
ছিঁটকে  পড়া নরকের,
              কীটের  গহ্বর।


স্মৃতির  হিংস্র  হায়েনারা,
             চিঁড়েকুরে খাচ্ছে আমায়।
এখানে কেউ শুনেনা,
             মোর ভয়ংকর চিৎকার।


এখানে অতল অন্ধকার,
             বিভীষিকাময় বীভৎস হুংকার।
প্রত্যাশায়  প্রদীপ  হস্তে,
              কেউ আসেনা,
               মোরে তুলে নিতে।


কেন এতো নিষ্ঠুর হলে তুমি?
               আমি তো কোন পাপ করিনি,
              তোমার তো কোন ক্ষতি করিনি।


এথা মোর প্রচন্ড আত্নচিৎকারে,
              এ অরণ্যের  হিংস্র  জানোয়ারেরাও,
               স্তব্ধ  হয়ে  যায়,
বৃক্ষের পত্র পল্লব ঝরে পরে।


তোমার তরে,
               তোমার বিরহী দংশনে,
বীভৎস  বিরহী হায়েনাদের  সাথে,
              আমি আজি,
         তাদের বাসিন্দা।


         ----------------


রচনাকালঃ০১/০৮/২০১৪ ইং