(গাজা সহ সমগ্র বিশ্বে মুসলমানদের উপর নির্মম অত্যাচারের  প্রতিবাদ মূলক কাব্য।একটু বড় হলেও সম্পূর্ণ  পড়ার অনুরোধ রইলো।)


             "দুঃসময়ের ডাকে"


মাগো,
আমার কাঁচা হস্তে,অস্ত্র তুলে দাও,
তোমার আঁচল ছিঁড়ে একাংশ,
মোর কপালে বেঁধে দাও,
আমি যুদ্ধে যাবো।


আমার কপালে,বিদায়ের চুমো এঁকে দাও,
আমি যুদ্ধে যাবো,
অত্যাচারীর বিষদন্ত উপড়ে দিবো।


গগন বিধারী আহাজারী রোলে,
আজি এ ধরিত্রী প্রকম্পিত,
শান্তিপ্রিয় মুসলিম জাতি,
আজি পদে পদে লাঞ্চিত।


বর্ররোচিত হামলা আর উৎপীড়নে,
আজি গাজায় ছিন্ন -বিছিন্ন হচ্ছে,
নিষ্পাপ শিশুর তনু।
ইহুদি শকুনেরা,চিঁড়েকুড়ে খাচ্ছে,
সেই ছিন্ন শবচ্ছেদ।


মানুষ রুপী হায়েনাদের ভয়াল থাবায়,
শিকার হচ্ছে আবালবৃদ্ধবণিতা।
বিধ্বসী ধ্বংসস্তুপে,
আমি যুদ্ধে যাবো।


কোথায় বিশ্ব বিবেক?
কোথায় মানব সংঘ?
এ নির্মম হত্যার কে দিবে জবাব?
কে দিবে এ তাজা প্রাণের প্রতিদান?


শত মায়ের সিক্ত আঁচল,
শত লাঞ্চিতদের ক্রন্দনরোল,
কে দিবে স্তব্ধ করে?
কে দিবে বোনের সম্ভ্রমহানির জবাব?


ওরে মুসলিম,
তোর দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে।
হয়ত বাঁচো,নয়ত মরো,
জ্বালাও অগ্নিমশাল,প্রতিশোধের তুখর নেশা।
অনেক হয়েছে, অনেক সহেছি,
যুগে যুগে আমরাই লাঞ্চিত,অপমানিত।
আর নয়,এবার ওদের পালা,
ধ্বংস করে দাও,আগ্রাসী শক্তি।


ওরে লাঞ্চিত,বঞ্চিত,অসহায়,
ওরে নবীন নওযোয়ান,চল যুদ্ধে চল,
নামা সত্য ন্যায়ের ঢল।
ভেঙ্গে ফেল,শত শিকল,
অত্যাচারীর বিভীষিকাময় অত্যাচার।


ওরে মুসলিম,
অত্যাচারীর গিরি-অদ্রীসম অত্যাচার,
দুমড়ে দাও,মুচকে দাও,
চালাও প্রলয়ংকারী বিধ্বসী অভিযান।
আজি কোথায় পালাবে,
অত্যাচারী, শোষক,জালিম জানোয়ারেরা।


ন্যায়ের নেশায় মত্ত হয়ে,
দাও লালে লাল স্রোতে, বিজয়ী তরী ভাসিয়ে।
যারা বারংবার করে অত্যাচার,
রুখে দাও তাদের,চির রুদ্ধ করি।


করে যাও ধ্বংস,ন্যায়ের পথে,
আমরা মুসলমান ধরিত্রী সাজাবো,
সাম্যবাদী, শান্তিপ্রিয় মানুষদের সাথে।


    """"যবণিকা ""''


রচনাকালঃ২৮/০৭/২০১৪ ইং