অভূতপূর্ব কুমারী কাজল আঁকা চোখ,
সহসা দর্শনেই ভরে গেল বুক।
যেন সে ভালবাসার নীল নগরী,
হেরিয়া তারে আহা মরি মরি।


অপূর্ব সেই রূপ যেন, ঊষার শিশির বন্যা,
যেন সে পুষ্পেকাননে প্রস্ফুটিত কলি,
সুভাসিত অনণ্যা।
কেন দেখলাম তারে,
হৃদয় আমার ব্যকুল হ'ল,শুধুই তার তরে।


ঝলকে দেখে পলকে হারিয়ে,
নিত্যপথে খুঁজি তারে,
কেন দেখলাম ওরে,
সেই অচীনপুরের,অচীন পাখিটারে।
হরিণীর চোখ মুক্তোর দন্ত্য,
কাদম্বিনীর এলোকেশ,
যেন উম্মাদ পবনে উড়ে,
এ হৃদয় উড়ুউড়ু,তার চঞ্চল চাহনির তরে।


পদে নূপুরধ্বনি কর্ণে স্বর্নলতিকা,
কন্ঠে মিষ্টি  বাণী,
সর্বাঙ্গে যেন তার স্বপ্নের কানাকানি।
শ্বেতকায় অঙ্গে বর্নিল পোষাক,
সূর্যলোকে করে ঝলমল,
এ যেন অনন্ত ভালবাসার প্রতীক,
আগ্রার তাজমহল।


স্বপ্ন ভ্রমর ঘুরে ফিরে,উষর প্রান্তরে,
এ মন উন্মাদ হ'ল,
কেন দেখলাম তারে।,
পলকে পলকে স্বপ্নের ইশারা,
স্বপ্নের হুর যেন,দিচ্ছে পাহারা।
আহা মরি মরি তার রূপের তরে,
এ মন আকুল হ'ল,কেন দেখলাম তারে?


আমি যে তার তরে,
পুষ্পে পুষ্পে ভরে,
গেঁথেছি মালা,
সে কি গো আসবে?
নাকি শুধুই দিবে মোরে বিরহী জ্বালা?
তবে কি এ পুষ্পমাল্য বাঁসি হবে ওরে,
হৃদয় শুধুই কেঁদে মরে,
কেন দেখলাম তারে।


ওহে কুমারী,স্বর্গের অপ্সরী,
যদি একটিবার নিরেট স্বপ্নজাল বুনো, তৃষিত এ মনে,
এ জনম ধন্য হবে,সুন্দর এ ভূবনে।


        ------০-----
রচনাকালঃ০৫ /০২/২০১০ ইং
হলুদিয়া,
মধুপুর,টাংগাইল।