ধমাধম মারবো মুগুর,
         কই যাবি রে এবার কুকুর।
কামড়ে দিছিস "বাছুর সোনা",
          মারলি সেদিন,"ছাগল ছানা",
রাত বিরাতে চলতে মানা,
         কখন যে তুই মারিস হানা।


শিশু দেখলে ধেয়ে আসিস,
          স্কুলের পথে কামড়ে দিস।
বাঘের মতন দেহখানা,
           তোর নাকি এক চোখ কানা।
তোর সনে কিসের আড়ি,
            কারফিউ করেছিস জারি।


ক্ষেপেছি যোয়ান বুড়ো,
            এবার তোরে করবো গুড়ো।
দেখে সে কুকুর ব্যাটা,
            সবার হাতেই লাঠিসোটা।
বলে,"আর নেই'ক রেহাই",
            জানটা লয়ে কোথায় পালাই।


সেদিনের জোৎস্না রাতে,
             সকলে একই সাথে,
কুকুরটারে দিলেম হানা,
            ভয়ে সে কুকুর সেনা,
বলে," বুঝি আর বাঁচবোনা"।


লেগেছি আদাজলে,
            কুকুর লোকায় আম্রতলে,
নানীদের আমবাগানে,
              ছুটিলাম সন্তর্পণে,
বলে এক বৃদ্ধব্যাটা,
             "দে আমায় লাঠিসোটা"।
দেবো এক জোরসে বা'রি,
              ভাঙবো আজ মাজা তা'রি।


তা শোনে ডাল ভেঙ্গে,
            কে যেন পড়লো তলে,
ও বাবা! "বাচাঁও বলে",
             ভূঁ দৌড়ে, ছুটলো চলে।
আমের ডালা পরলো ওরে,
             কুকুর ব্যাটার ঘাড়ের প'রে।
কুকুর বলে,"ওরে বাবা!
            এ আবার কোনসে থাবা?


সে ছিল আম চোর,
             প'রেই তো ভূঁ দৌড়!
কুকুর ব্যাটা চোরের পিছে,
             আমরা কুকুরের পিছে !
দৌড়ায় চোর আরও জোরে,
             বলে,"এবার রেহাই কিরে"!
কুকুর বুঝি মুনিবের দাস,
      ঘটাবে মোর সর্বনাশ!


মরার ডরে,কুকুর মরে,
             চোর মরে,কুকুরের ডরে।
একি অবাক কান্ড!
             অবশেষে বাঁচলো ওরাই,
মোদের শ্রমই পুন্ড!!


              """""যবণিকা """""


রচনাকালঃ২২/১১/২০১৪ ইং
হলুদিয়া,
মধুপুর,টাংগাইল।