মোর গানের বাণী থমকে যাবে,স্তব্ধ হবে সুর,
জীবন রবি অস্ত যাবে,আর হবেনা ভোর।
চেনা এ পথ ধরে,ফিরব না'ক আর ওরে,
এ বাংলার মাঠে ঘাটে ,দেখবেনা কেউ মোরে।


বসবো না'ক আর বটবৃক্ষের ছায়,
শুনবে না'ক গান আর ,ভাঙা এ গলায়।
হয়ত মিশবো ধূলোর সনে,
পথের ধারে দূর্বাবনে।
গ্রাম্য কিশোরীর নূপুরের ছন্দে,
হয়ত গেয়ে যাব নিভৃতে মনানন্দে।
হয়ত কেউ বুঝবেনা,
নয়ত কেউ খুঁজবেনা।


আমি কৃষকের ক্ষেতে ধান হয়ে গজাবো,
ফসলের মাঝে দোল খাব,
নবান্নে বাংলা সাজাবো।
ভর দুপুরে নিঃসঙ্গ ঘুঘু পাখির সনে,
গাইবো গান, নির্জনে ঐক্যতানে।
হয়ত কেউ জানবেনা,
নয়ত কেউ শুনবেনা।


বরষার জলে, বিলের পদ্ম হয়ে,
সাতাঁর কাটবো,ছেলেবেলার মত করে,
হয়ত কেউ চিনবেনা মোরে।
আমি বসন্তের পুষ্প হয়ে আসবো,ফেলে আসা,
এ বাংলা মায়ের চরণে পূজো  দিতে,
নিরবে,নিভৃতে।


আমি শামুক হয়ে,বিলের কাদাজলে গড়াগড়ি খেলবো,উদোম গায়ের,শিশুদের সনে,
আনমনে,আনমনে।
কেউ হাতে তুলে জিজ্ঞেসিও,"কে তুমি ওগো''
আমি শীতের সকালের ন্যায়,
মিষ্টি হেসে বলে যাব,
অজগাঁয়ে মোর বাড়ি, এ বাংলা আমার মা,
আমি মিশে আছি এ বাংলার
প্রকৃতির মাঝে,
যদিও  চির অচেনা।


          ------০-----


রচনাকালঃ২৫/১১/২০১৪ ইং
হলুদিয়া,
মধুপুর,টাংগাইল।