সেই যে কবে,
মাথায় গামছা বেঁধে,কাঁধে রাইফেল লয়ে,
দুর্দমনীয় গতিতে, মায়ের বারণ দলে,
গাঁয়ের মেটোপথ ধরে,
বংশাই নদী পাড়ি দিয়ে,
ছুটে গেল 'খোকা' !


অশ্রুসজল অক্ষিতে,বদনে আঁচল চেপে,
অধীর প্রতিক্ষায়,
আজো চেয়ে আছে মা!
তার খোকা যে কখন ফিরে.....।
কতদিন হল,
উসকো কেশে তৈল মেখে দিলনা কেউ,
খোকা,তোর মতো করে।


খোকা; তুই না বলেছিলি,
'চশমাটা পুরানো হয়ে গেছে,তোমায় একটা,
নতুন চশমা কিনে দিবো"।
কিন্তু কই.............?
ঝাপসা চোখে মা।


কেঁদে কঁদে মায়ের চোখে ছানি,
শুকিয়ে গেছে চোখের,অবশিষ্ট জল!
তবুও প্রতিনিয়তই,
এ কোন অত্যাচারীর, অজস্র বেয়নেটের খোঁচায়,
ক্ষতবিক্ষত হচ্ছে  মা ?
তার খোকা যে,কবে ফিরবে,
কবে রুখবে,মায়ের এ অত্যাচার।


তার খোকা যে,ঘরে ফিরলোনা আর!
তবে কে রুখবে,
মায়ের এ অত্যাচার?
না। মা তবুও হতাশ নয়।
তার উদরে জন্মলয়েছে ফের,
অজস্র বিদ্রোহী খোকা!
যারা রুখবে,মায়ের এ অত্যাচার,
এনে দিবে পূর্ণ স্বাধীনতা।


       '''''''যবণিকা '''''


রচনাকালঃ২৮/১১/২০১৪ ইং
হলুদিয়া,
মধুপুর,টাংগাইল।