আমি ধূসর ধরায় অন্তহীন দুর্দম্যতায়,
গেয়েই যাব গান,
               কেউ শুনুক আর নাইবা শুনুক।
               বিজন বনের সব পাখির গান,
                          কে ই বা শুনে ?
          আমি পথ চলতেই থাকবো আমরণ,
            কেউ সঙ্গী হোক আর নাইবা হোক।
                    নিঃসঙ্গ মুসাফির সনে,
                   অহর্নিশ কে ই বা চলে ?
আমি সাম্যের অমিয় বাণী, বিলিয়েই যাব সর্বক্ষণ,
            কেউ আসুক আর নাইবা আসুক,
                            সাম্যের পথে।
           নির্জন গহীন বনে,কত পুষ্পই না ফুটে,
                 কে ই বা সব পুষ্পের সুবাসে,
                             মত্ত থাকে ?
আমি বয়েই যাব আজীবন,নিঃস্রোতা নদীর মতন,
                    কারো দৃষ্টিগোচর  হোক,
                          আর নাইবা হোক।
              বালিচরের কান্না, কে ই বা শুনে।
আমি অহর্নিশি লিখেই যাব আমরণ,
চির অসহায়দের কাব্য,
                কেউ পড়ুক আর নাইবা পড়ুক।
                           কত মহাকাব্য,
              বিস্মৃতির অন্তরালে  গোঁমড়ে কাঁদে,
                  কে ই বা তার,সবটুকু পড়ে ?
          আমি বলেই যাব সদা সত্য ন্যায়ের বচন,
                   কেউ শুনুক আর নাইবা শুনুক।
কত শান্তির দূত ডেকে যায়,অন্ধকার রজনীতে,
              কে ই বা তাদের সকলের ডাকে,
                            সাড়া দেয় ?
আমি উড়িয়েই যাব মোর ভাবনা গুলি,শুভ্র মেঘের মত,
               কেউ দেখুক আর নাইবা দেখুক।
                  কত শুভ্রমেঘ ঘণীভূত হয়ে,
                      কতফোঁটা বারিঝরায়,
                 কে ই বা তাহার হিসেব রাখে ?
  আমি গেয়েই যাব প্রভাত সঙ্গীত, জাগরণী  গান,
                     কারো ঘুম ভাঙুক আর
                           নাইবা ভাঙুক।
কত ভোরের পাখি, নিঃস্বার্থে ডেকে যায় প্রভাত বেলায়,
                       ক'জনই বা জানে ?
           সভ্যতার এ ঘোর অন্ধকারে,মিথ্যা অন্যায়,
                       আর জুলুমের প্রলয়ে,
    নিঃস্বার্থ প্রদীপওয়ালার মত,নিভে যাওয়া প্রদীপ,
                   জ্বালিয়েই যাব আমরণ।
যদি কারো ভূবণ, সেই আলোতে ভরে ওঠে, ওহে বন্ধু,
            তবেই আমি ধন্য হব,পূর্ণ হবে মোর,
                            কাব্যের সিন্ধু।


             -----০-----


রচনাকালঃ২১ /১২/২০১৪ ইং