আমায় কি গো পড়বে মনে, সেই আগেরই মত,
তোমার বুকে ঘিরে আছে, স্বপ্ন শত শত ।
আমায় কি গো ডাকবে আর, নির্ঝরেরই মত,
জড়িয়ে  ধরে বলবে কি আর, মনের কথা যত।


তোমার বুকে নূতন সাথী, নব প্রভাত নব রাতি ,
নূতন বীণায় তুলেছো লহর, সুখেই আছো অষ্টপ্রহর ।
রাত্রী জেগে আমার তরে, প্রহর কি আর গুণবে,
আমার গাওয়া বেসুরে প্রলাপ,তুমি কি আর শুনবে ?


তোমার চোখে নূতন স্বপন, বিলাসিতায় মত্ত ভূবন,
নূতন  নায়ে তুলেছো  পাল, নূতন নাবিক ধরেছে হাল ।
এথা মোর ভগ্ন ডিঙা শূন্যতায় ভরা,
রিক্ত তিক্ত বিষাদসিক্ত, আমার বসুন্ধরা।


রোজ প্রভাতে আর কি গো, বকুলমাল্য দিবে,
শিহরণ তোলা রুমাঞ্চভরে,বুকে জড়িয়ে নিবে ?
আবেগের বশে আর কি গো, অধরে করবে চুম্বন,
আর কি গো আমার ব্যথায়, ঝরবে অঝর ক্রন্দন ?


নীহার হয়ে ভিজিয়ে দাও, অন্য পুষ্পকানন ,
অন্য পুষ্পের পাঁপড়ি এখন, সে ই তো তোমার আপন।
পথের ধারের ভাঁটফুলে, সাজবে কি আর বউ,
তোমার চাকে নূতন মধু, নবরূপে মউ  ।


পথের ধারে ফেলেছো ছুঁড়ে, পুরানো সব স্মৃতি ,
তুমি আজ নবশাখে , মোর বৃন্তচ্যূতি  ।
তোমার তরে জনম ভরে, সইব নরক জ্বালা,
নিভৃতে গেঁথেই যাব, ব্যর্থ  কাব্যমালা ।
                  
কভু যদি ক্ষণিক ঝড়ে,  প্রদীপ  নিভে যায়,
অন্ধকারের মাঝেই তুমি, খুঁজিও আমায়  ।
আলোর প্রদীপ নাইবা হলাম , তোমার ভূবনে ,
অন্ধকার হয়েই রবো, আলোর পিছনে   । ।


         ------০------


রচনাকালঃ২১ /০৭/২০১৪   ইং
হলুদিয়া,
মধুপুর, টাংগাইল।।