আমি হারিয়ে যাবো অনেক দূরে চিরতরে
  দুরাশার এ মাকড়সার জাল ছিন্ন করে,
          সকল বাঁধা রুদ্ধ করে,
          সকল বন্ধন ছিঁন্ন করে।
সহস্রবার ডাকলেও মোরে, আসব না'ক,
                 আর ফিরে,
      নিয়মের এ শৃঙ্খল ছিন্ন করে,
             পাড়িদিবো দিগন্ত,
             চিরতরে, চিরতরে ।
পাবেনা কেহ সম্মুখে আমায়, হয়ত পাবে                  
                স্মৃতির  পাতায়,
   জমবে ধূলো মোর, কাব্যের খাতায় ।
              যে বাটে মোর চলা,
          যে দূর্বাকোমল পদে দলা,            
  হবেনা'ক দেখা আর, পুরানো বন্ধুদের
                    আসরে  ,
      আমি হারিয়ে যাবো, অনেক দূরে ,
               চিরতরে, চিরতরে।
   যেথায় বসে মোর, কাব্যের বৃষ্টি ঝরে,
         ঘন ঘাসের বিদ্রোহী ডগায়,
              উঠবে সেথায় ভরে ।
হয়ত সেথায় বাঁশের পাতায়,ঘনস্তর পরবে
        কাঁটালতায় ঘন ঝোঁপে,
             চারিধার ভরবে ।
ঘনঘাসে পরবে চাপা মোর সমাধির প'রে
    আমি হারিয়ে যাব, অনেক দূরে,
             চিরতরে, চিরতরে ।
   মোর ব্যর্থ কাব্যমালা, পড়ে থাকবে,
                    হয়ত বাটে,
           পথিকের ধূলো জড়িয়ে।
            হয়ত বা সাঁঝের বেলায়,
   মেতে আপন খেলায়, উড়ে চলবে
           ধেনুর পালের পিছুপিছু ।
এ নদী বাট, হাট ঘাট মাঠ, রবি শশী পবন
              এ প্রকৃতি, এ গগণ,
এ বাংলার শ্যামল প্রকৃতি, হয়ত থাকবে,
                 আগেরই মতন।
আমিই শুধু হারিয়ে যাব, দূর হতে বহুদূরে
               চিরতরে, চিরতরে ।
হয়তবা রবি এসে ঘুম পাড়াবে আদরকরে
           নজরুল এসে ঘুম ভাঙাবে,
                    বিদ্রোহী সুরে ।
রাসূলের তরীর তরে, কাঁদবো পাড়ে বসে
                হয়ত বা চুপিসারে
               লালন বসবে পাশে।
হয়ত বা খুঁজে পাবে মোরে,তাঁদেরই ভিড়ে
             নয়ত বা হারিয়ে যাবো
                  কালের গহ্বরে,
               চিরতরে, চিরতরে ।


                     যবণিকা


রচনাকালঃ২১ /০৯/২০১৫ ইং