ও পাড়ে ছিলাম, এ পাড়ে এলাম,
কামনার লহরে ভেসে,
দু' ফোঁটা শুভ্রজল, তাহাই সম্বল,
রক্ত মাংস শেষে ।
কি সুখ লভিতে, কিসের তরে,
হলো মোর ঠাঁই, এ ভব পারাবারে ।
মাতিয়া এথায় ধূলোর সাথে,
মত্ত রহিলাম সন্ধ্যা প্রাতে ,
উদিলোনা মোর জ্ঞানো রবি,
অন্ধ লোচনে হেরি সবি ।
দীপজ্ঞান ধরি, নেমে এলুম ভবসিন্ধু পাড়ে,
হেরি মোর, হিয়ার মাঝে বসত করে,
স্বরূপ কারিগরে ।
অন্ধ লোচন দেখে না,
সহস্র পর্দার আঁড়ে ।
হেরি এ ভবসিন্ধু, উত্তাল ভারি,
প্রতিকূলগামী আমার এ ভগ্নতরী।
জ্ঞানলোচনের দ্বার পারিলাম না খুলিতে,
অন্ধ অক্ষি পূ্র্ণ হলো, ভব মায়ার ধূলিতে।
দিনের শেষে, ক্লান্ত বেশে,
পদে পদে শুধুই দেনা,
কাহার তরী বাইলাম ভবে,
মহাজন হলো না চেনা ।
মহাজনের শুধিতে দেনা,
হাতে নেই কানাকড়ি,
পাড়ের ঘাটে বসে কাঁদি, লয়ে মোর,
ভগ্ন এ "শেষ খেয়াতরী " ।


           যবণিকা


রচনাকালঃ ১২/০৩/২০১৫  ইং