লামিয়া,
বেঁধে নিও তোমার, খোঁপার বাঁধন,
নূতন করে,
পুরানো সব পুষ্প ছুঁড়ে, অনেক দূরে ।
হয়ত তাদের কোমলতা,
আজিকে সবই ম্লান,
তোমার দীঘল কুন্তলে বুঝি,
বাঁসি তাদের ঘ্রাণ ।
হয়ত কেহ তোমার ললাটে,
পরিয়েছে স্বপ্ন সিঁদুর,
ইচ্ছে ডানা সবল তোমার,
যাও যত ইচ্ছে, যতদূর ।
আমার দেয়া শিহরিত, প্রথম স্বপ্ন স্মৃতি,
হয়ত তাঁরা শুকিয়ে গেছে,
ঝরে গেছে বৃতি ।
হয়ত তোমার কপলে পরেছে,
মহা সুখের চুম্বন,
বিভীষিকাময় এসিড দগ্ধ,
আমার প্রেমের বন্ধন।
হয়ত সেজন দিয়েছে ভালে,
পূ্র্ণচন্দ্রের টিঁপ,
এথায় মোর ভালবাসা,
উষর ধূসর নির্জীব,
হয়ত তুমি ভুলেই গেছো,
শাওনো রাতের কথা,
বরষার জলে ভিজে ভিজে,
বকুল মাল্য গাঁথা।
ভুলে গেছো হায়,
নির্জন দ্বীপে, ঘন কাশফুলের আঁড়ে,
মিষ্টি আলিঙ্গন,
কোন বিত্তবানের, বৈভব মোহে,
পাল্টে গেছো তুমি,
আর পাল্টে গেছে  তোমার মন।
আজি লাটাই ছেড়ে দিয়েছি,
যাও, যতদূর ইচ্ছে যাও,
স্মৃতিগুলো দলে যাও,
শুধু একবার বলে যাও,
কেন আমায় ভুলে যাও ?


            যবণিকা
রচনাকালঃ ১৩/০৫/২০১৩ ইং