মেয়েটি তখন বিদ্যাপিঠের দ্বিতীয় স্তরে,
অব্যক্ত অজস্র স্বপ্ন কাঁজল আঁকা নয়নে,
একে একে উঠবে,
সেকেন্ডারী, হাইয়ার,স্নাতক..........
সর্বোচ্চ বিদ্যাশিখর ।
সময়ের গ্রিল ধরে,
উঁকি দিয়ে দেখে জ্ঞানের সিন্ধু ,
স্নান করিবে, কত সাধ হৃদে ।
দৈন্যতার বিদ্রোহী ঘূণে,
মরমরে করে দিয়েছে পিতৃসংসার।
সংকটের দানব, আঁছাড় মেরেছে,
ওর স্বপ্ন গুলো ।
দরিদ্র বলে, বাঘ্রের মত চিঁড়ে
খেতে চেয়েছে ইভট্রেজার।
শ্যাওলার মত ভিড় জমিয়েছে তাঁরা,
ভাবনার সায়রে।
গঞ্জনার ত্রাসে, অকাল পরিণয়
মাটি চাপা দিল ওর ভাবনা !
জ্ঞান সিন্ধুর সৈকতে, বালিচাপা পড়েছে
ওর প্রত্যাশা ।
চার দেয়ালে বন্দি এখন গোলাপি,
স্বামীর সংসারে!
যে বই একদিন সিক্ত হতো,
গোলাপির অক্ষির জলে,
সে বই আজ বড্ড কাঁদে, গোলাপির তরে,
অনাহূত খাবি খায়,
ধূলির সায়রে ।
আঁছাড় খেয়ে থুবড়ে পড়ে,
টেবিল তলে,
কেউ দেখে না !
আর কত গোলাপির স্বপ্ন,
এভাবেই চূূ্র্ণ হবে ?


            যবণিকা
রচনাকালঃ ২৩/০৩/২০১৫ ইং