বাদলা দিনে মেঘলা গগণ, ঘন বরষা,
ওই পাড়েতে ইলশে গুঁড়ি, যেন কুয়াশা।
দিনমণি ক্ষীণ হল, ঘন মেঘের আঁড়ে,
এমনো দিনে হৃদয় পুঁড়ে, তারে মনে করে।


ইচ্ছে করে ভিজবো দু'জন, নির্জন ফুল বনে,
না হয় দু'জন জড়িয়ে রবো, শূন্য গৃহকোণে।
এমনো দিনে সখি তুমি, একা থাকো কেমনে,
আমার কথা একবারও কি, পড়েনা তোমার মনে।


বকুল তলে নদীর ধারে, কতো স্মৃতি ঘুরে ফিরে,
কেমন করে সকল স্মৃতি, ফেলেছো প্রিয়ো ঝেড়ে ?
কোনসে মনে, আমার সনে খেললে এত ছল,
এমনো দিনে, দু'নয়নে বরষার চেয়েও জল।


কোনসে ভুলে হৃদয়মূলে, ঢাললে বিষানল,
এমনো দিনে, হৃদয়ে বহে নির্ঝরেরই ঢল।
এমনো দিনে ফুল বাগানে,গড়েছি কত স্মৃতি,
কোনসে ঝড়ে ঝরিয়ে গেলে,হৃদপুষ্প বৃতি।


কুমারী ওই ভেজা ঠোঁটে, দিয়েছি কত পরশ,
তিল তিল করে পিয়েছি কত,কুমারীর প্রেমোরস।
বিষাদ বেণু, বাজিয়ে কেন,গেলে বহুদূরে,
আমার এ ঘর ভেঙে কেন,স্বপ্ন অন্যঘরে ?


বাদলা দিনে মনেপড়ে, সেই সে হাসির তান,
যে হাসিতে হাসিত মোর, হৃদয় মনেপ্রাণ।
টাপুরটুপুর বৃষ্টিজলে, নাচতে নগ্নপায়,
ভেজা শাড়ি হয়ে কত,জড়িয়েছি গায়।


এতমধুর স্মৃতি সকল, কেমনে রইলে ভুলে,
রক্তপদ্ম বেঁধে দিতাম, তোমার ভেজা চুলে।
আজিকে তুমি ওই পাড়েতে, অন্যেরপুরাও আশা
আমার চোখে ইলশে গুঁড়ি, শুধুই কুয়াশা।


                      যবণিকা
রচনাকালঃ ১০/০৯/২০১৪ ইং