আমি লাথি মেরে ভাঙবো সিন্দুক,
ঘুষের টাকায় গড়া ওই,
অদ্রীসম ইমারত,
ওরে রক্তচোষা, অর্থলোলুপ ধনবান,
তোদের উদর ফেঁড়ে ছিনিয়ে আনবো,
হিরে জহরত,
খুঁজবো, কোথায় তোদের ন্যায়ের ভগবান।
যবে, কৃষকের ঘর্ম হেরি,নাসান্ধ্র চাপিস,
সুগন্ধি রুমালে,
শ্রমিকের পেটে লাথি মারিস,
ক্ষমতার বলে,
অন্তরালে চুষে খাস, গরীবের ধন,
তখন কোথা থাকে তোদের,
ন্যায়বাদী মন ?
অর্থ ঢালিস পাপের পথে,
থুঁথুঁ দিস অনাথের পাতে।
হাজার টাকার বস্ত্র পরে,
ঘুরে বেড়াস পাজারু চড়ে।
দেখিলিনে কভু মানবতার নজরে,
জীর্ণ কঙ্কালসাড় তনু, ছিন্ন বস্ত্রপরে,
মস্ত ইমারতের পাশে, অনাহারে অর্ধাহারে,
ধুকে ধুকে মরে।
কোথা রে ভাই,তোদের মানবতা ?
একবারও কি মন কাঁদেনা,
হেরি অনাথ, এতীমের ব্যথা ?
শত ধিক্কার তোদের তরে,
মানুষের মুখোশ পরে,
ক্ষমতা আর অহংকারে,
সুখে আছিস যাঁরা,ক্ষণিক স্বর্গ গড়ে।
আমি, ন্যায়ের বিধ্বংসী মশাল হয়ে,
জ্বালিয়ে দিবো সেই স্বর্গ,
চিরতরে,
লোটে নিবো সেই ধন,
বিলাইবো অনাথের তরে ।


         যবণিকা
রচনাকালঃ ৩১/০৩/২০১৫ ইং